তখনও চশমাটা হাতে ছিল
কপালের ভাঁজে ভাঁজে ঘামগুলো
বিন্দু বিন্দু কুয়াশা হয়ে নিস্তব্ধ দার্শনিকের মতো দেখছিলো
ফেলে আসা পিছনের ইতিহাস,
কাঁচের টুকরো ভাঙা আয়নায় জল ছবির
ক্লান্ত বেলার নিজ হাতে নিজের টগবগে সর্বনাশ,
কিংবা নিজের সাথে নিজের লড়াই আর
কম্পিত কষ্টি পাথরের মধ্যে ধ্রব তারার বসবাস,
জীবন হালকা উল্কাপিন্ড হয়ে সুমুদ্রের ডুব সাঁতারির
মতো বিদ্রুপের হাসি হেসে বলছিলো,
মানুষ আর মানুষ নেই যেন সত্যের সাথে মিথ্যের পরিহাস,
আর কেনা হয় রংবাজীর ভ্রান্ত মেলায়
ক্রীতদাস উপহাস আর নীলাভ উত্তাপের আভাস;
যাদের নেই কোন খোলা সরোবর
একমুঠো মাটি আর খুঁড়কুটোর তৃণলতায় ঘেরা
চন্দ্রগ্রহনের বালুচরে জেগে উঠা ঘর
কিংবা
পরশ পাথরের ঝলকানো জাদুতে চেনা রেশমি চাদর
স্বার্থপরতা আর কেবা আপন কেবা পর
যেন শহরের পর শহর কৃত্রিম জলসাঘর |
এবার চশমাটা গড়িয়ে পরে মাটিতে
যেমন গড়িয়ে চলে মানুষ সময়ের কাছে
জটিল শেকড়ে আটকানো বট গাছে,
আর দুই হাত আকাশে তুলে চিৎকার করে বলে
আমি আর নেই আমি
এখন হয়ে গেছি যন্ত্রদানব,
যার নিজের নেই কোনো সত্তা, ঘড়ির কাটাতে বন্দি
জীবন পরাভব আর ধুম্রজালের কল্পিত অবয়ব |
তারপরও স্বপ্ন দেখে সময়
চশমার কাঁচ ভেঙে চায়, পথ হারায়
আবারো ফিরে পেতে চায়
এক নতুন সভ্যতার চাঁদনী রাতের
বাস্তবতার অধ্যায়
অতঃপর ঘুমায় আর জেগে উঠে
এক আম জনতার ঝলমলে আড্ডায়
কিন্তু তবুও বলি বলে চলি আমি আর আমি নাই |