তোমাদের রক্তে গড়ে আমাদের রঙিন প্রাসাদ
ঝরে পড়ে তীব্র কষ্টের অশান্ত ঘাম,
বাজারের বাণিজ্যিক পণ্যের মতো,
আমাদের রুদ্র মূর্তি তোমাদের তোলে দাম |
তারপরও একটুও সহানুভূতি নেই
ঝাঁঝালো অংগারের মতো তোমার শরীরটা রোদে পুড়িয়ে
অবাঞ্চিত বদনাম,
হয়তো বলতে পারতে শোষকের মুখগুলোকে নেমকহারাম,
কিংবা শুকনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হালকা বাদাম |
কিন্তু
এখনো দেখি তোমার ক্লান্তিহীন অবশ দেহ,
পড়ে থাকে অসার হয়ে আর তোমার আত্মদান
হয়তো কেউ দেখে কেউ দেখেনা,
তারপরও ইতিহাসের চোখে তুমি কিংবদন্তি, তুমি মহান
তুমি বিমুক্ত আহবান |
যখন হেঁটে চলে সময় শুন্যতার দহনে
তখন দেখি
অসীম শুন্যে তুমি মুখ বুজে থাকো
হয়তো তুমি বাবা,
সন্তানের মুখে দুটি অন্ন তুলে দিবে বলে নেই কোনও অবসাদ,
তোমার মাংস পেশিতে যন্ত্রণার দগ্ধ আগুনের টান
তবু তুমি লড়ে চলো প্রতিদিন,
মুখে হাসি তবুও দেনা পাওনারা পথ হারায়
এই সমাজ পারবে কি কখনো শোধিতে তোমার রক্তের ঋণ |
কে জানে এখন মানুষ তো মানুষ নেই
হয়ে গেছে যন্ত্র দানব,
যেখানে টাকার অংকে মানুষের কেনা বেচা হয়
সেখানে কিসের মন, কিসের আবেগ, কিসের আলিংগন,
সেখানে তোমার শ্রমের পিপাসার্ত ঘাম, কেড়ে নিতে পারে
তোমার অমূল্য জীবন |
তারপরও আজ জাগতে হবে
জাগাতে হবে এই ঘুনে ধরা প্রাচীন সমাজ,
তুমিও তো মানুষ, তোমারও তো থাকতে পারে জীবনের উল্লাস
হাসি, কান্না আর বিষাদ,
যারা ভাবে তুমি টাকায় কেনা ক্রীতদাস,
তারাই বিক্রি করে নিজের বিবেক
আর মানবিক সভ্যতার ঘটায় বিনাশ,
সর্বনাশ
মহাকাল পড়ে থাকে কংকালের মতো
যদি গড়তে পারে নতুন করে জীবনের ইতিহাস |
আছি এখনও বসে সেই সময়ের অপেক্ষায়
যদি সমাজ বদল হয়,
মানুষ বদলায় |