হঠাৎ এসে কবে টেবিলের ‘পরে তবে
দিয়ে গেছ অজান্তে একরাশ ফুল আর হলদে খাম,
আরো ডায়েরীতে লিখে গেছ ‘মমতাজ’  নাম।
আমি যারে চিনি না, দেখিনি চোখে
কেন গেলে ডায়েরীতে ঠিকানা লিখে ?
হয়তবা ভেবেছিলে ঠিকানাটা লিখে দিলে ভালবাসতাম,
তাই বুঝি ডায়েরীতে লিখে গেছ ‘মমতাজ’  নাম।
যার সাথে কথা নেই জনমও থেকে
কি করে ভালবাসি চোখে না দেখে !
একবার ভেবে তবু পারিনি দিতে কভু হৃদয়ের দাম,
শুধু মন ছুটে যেতে চায় অজানা সে ‘নিথক’  গ্রাম।
দুজনাতে হবে দেখা জানি না কবে,
মাঝে মাঝে হয়ে যাই ব্যাকুল তবে,
দেখে দেখে ঠিকানা হৃদয়ের খাতাখানা প্রেমে যায় ভরে,
তাই বুঝি বারে বারে তোমাকেই মনে আজ পড়ে।
দুজনার প্রেম যত হোক সুনিবিড়
গড়া তবু হবে নাতো ছোট সুখ নীড়।
অলীক এ প্রীতি মম যেন তা স্বপ্ন সম ক্ষণিকের তরে,
নিদ্রা ভাঙলে হয় না যেমন বাস্তব পরে।
স্বপ্নীল আশাগুলো পায় নাকো ঠাঁই,
বিশাল আকাশ তবু পথ খুঁজি নাই।
পথহারা পাখি হয়ে কত জ্বালা বুকে লয়ে মরি ঘুরে ঘুরে,
আজ কি যে আশা বুকে দিয়ে আছ বহু দূরে।
কোথা সে কালিগঞ্জ, কোথায় গোড়ল
প্রেমের রাজ্যে আমি অসহায় মোড়ল,
মনে আশা বহু কিছু তবু পড়ে আছি পিছু, কখন কি হয়
প্রেমের এ পথ বড়ই পিচ্ছিল বলে তাই এত ভয়।
খামাখা  পিছলে পড়ে ভাঙে যদি পা
প্রেমের সাগরে নাইতে গিয়ে ভযে কাঁপে গা
পিছলে পড়ার ভয়ে তাই জড়োসড়ো হয়ে থাকি আমি সদা,
তবু কখন যে গায়ে লাগে কলঙ্ক-কাঁদা।
জানি না তোমার মনে কি ছিল আশা
হয়তবা  জেগে ছিল প্রেম ভালবাসা।
প্রেমের ভুজঙ্গ বিষে যদি গো রুধিরে মিশে তনু যায় ছেয়ে
তাই চাই না কাছে যেতে প্রেম তরী বেয়ে।
আমি যার কিছু নই, তবু সংশয়
যেন মনে মনে হয়ে গেছে কত পরিচয়।
তাইত আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে ঠিকানাটা আজ,
তব গাঁয়ের নামে এ কবিতার নাম দিলাম ‘নিথকের মমতাজ ।’