শুনেছি পুরান ঢাকায় বানরের ছড়াছড়ি
ঘরে ঢুকে করে ওরা বিছানাতে গড়াগড়ি
শুনি প্রতিদিনই মানুষের করে উৎপাত
চুপ করে খেয়ে যায় দুধ কলা ভাত।
ঘরে ঢুকে এটা ওটা করে শুধু নষ্ট,
পশু বলে বুঝে নাতো কারো কোন কষ্ট।
আমাদেরও অফিসেও দেখা যায় বানর
পুরানো ঢাকার চেয়েও এরা দুষ্ট ভয়ঙ্কর
অফিসেতে ঢুকে এরা বসে থাকে চেয়ারে,
একটা বানর ওঠে আরেকটার ঘাড়ে।
কখনো দোলায় দু’ পা বসে ইজি চেয়ারে
মাথার উপরে ফ্যান ঘোরে জোরে সোরো।
মোটা সোটা লাল যেটা সেটা খুবই পাজী
থেকে থেকে ‘হিসু’ করে খায় ডিগবাজি।
অন্যেরা নেচে নেচে দেয় হাত তালি,
দূর থেকে আমাদেরও ছুঁড়ে ধূলোবালি।
যাই খুশি তাই করে বাধা দেবে কে রে ?
যাকে তাকে কামড়াতে আসে আরো তেড়ে।
সেই ভয়েই চুপচাপ থাকি একেবারে,
তবুও দুখের কথা শোন বলি ওরে–
ঘরে রাখা ছিল টাকা চৌষট্টি কোটি
বানরেরা কেটে সব করে কুটি কুটি।
সরকারি এ টাকার হিসেব কিসে দেব ভাই
তাই রাতদিন টেনশনে চোখে ঘুম নাই।
সাইফুল দেয় না তাই আর টাকা কোনো
তার পরের ঘটনা ভাই কি হলো শোনো-
বানরের কাজে সবাই খেপে গিয়ে ওরে
সব বানর একসঙ্গে তাড়াল যে ভোরে।
২০০৬