হৃদয়ে আমার পদ্মার ঢেউ
জীবন জুড়ে বঙ্গপের দূতালি জলোচ্ছ্বাস;
দুর্বাসা মনে দুঃখের সাথে বাস,
এখানেই রবে পড়ি মোর জীবনের যত অভিলাস।
জরা-জীর্ণ জীবন আমার,জীর্ণ-শীর্ণ হিয়া,
জীবন আমার গড়া শুধু দুঃখ-কষ্ট দিয়া।
পুশিদা হৃদয় পূতি ছড়ায়ে পুড়েছে আমার ধরা,
কিছুই নাই এই দেহে আর রক্ত-মাংস ছাড়া।
স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত মন,বিতন্ডাতে ভরা;
চলার স্রোতে বাম্য বায়ুতে আমি বিচ্ছায় দিশেহারা।
দুখের পসরা হৃদয়ে ভরে চলছি অজানা পানে,
জানিনা সে নোঙ্গর করবে কোন্ দেশে,কোন্ ঘাটে।
নিভে গেছে সান্ধ্য প্রদীপ,নাই কোথাও আলো,
জীবন প্রান্তরের চতুর্দিকেই হয়ে আছে কালো।
কষ্ট হাওয়ায় পাল উড়িয়ে চলছি দিবা রাতি,
নির্ঋতি এই জীবন নায়ে কেইবা দিবে সন্ধ্যাবাতি?


নিরেস নিরালম্ব আমি,কোথায় পাতিবো ঘর?
আমার স্বপ্ন আজি নিরর্থক, সবি নিরাকার।
আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন, দুঃখে দগ্ধ দেহ,
প্রবঞ্চনার যাতায় পিষ্ট-নাই বাঁচানের কেহ।
খসে পড়েছে সুখের কিরীট
কুহেলী আবরনে ছেয়ে গেছে মন,
জমে উঠেছে অশ্রু বিন্দু
সিঞ্চন  করছি তাহা প্রতিক্ষণ।
ত্যাগিয়া গৃহ,ত্যাগিয়া আপন জন,
জীবন সংগ্রামে আজ আমি নিশ্চল, ম্রিয়মাণ।
মেঘের আড়ালে ঢেকে গেছে জীবন সূর্য্যি খানি,
কোন দিন দিবেনা কেউ আমারে সুখের বার্তা আনি।
কালের স্রোতে জীবন গগন মেঘে গেছে ঢাকি,
জানি-সেথা থেকে সুখের সূর্য্যি দেবেনা কখনো উকি।
দিগ্ভ্রান্ত আমি, জানিনা কোথায় মোর ঠিকানা,
কোন দিন দেখিনি আমি মোর জীবনের পরচা।


আমার জীবন বানিয়েছে মোরে বর্ণহীন ছায়াছবি,
জানিনা কখন ডুবে গেছে আমার ভাগ্য রবি।
বৈবর্ণ  হয়েছি আমি,নাই কোন লোভ বৈভবে,
হয়তো একদিন আমার দু'কুল ছেড়ে যাবে সবে।
বিনিন্দিত আমি,বিনয় না জানি,
সবার হৃদয়ে দিয়েছি শুধু দুর্ভর দুঃখ আনি।
দুঃখ শিরিস জড়িয়ে ধরেছে আমার সর্ব শিরায়,
সোল্লাসে আর উঠেনা মেতে আমার ক্ষুদ্র হিয়ায়।
ত্রস্ত নয়নে অগ্নি জ্বলে,দুঃখ হয়েছে জার,
পারবেনা কোন প্রজ্ঞ আমার প্রতিকার।
স্খলিত-স্তিমিত,স্রেফ সৃজন হীন।
থেমে যাবে রিক্ত রিষ্ট লভ্য জীবন বীণ।
ভষ্মীভূত হয়েছে জীবন, নাই কোন অবশেষ,
পস্তা চিত্তে হয়তো একদিন ছাড়বো ভুবন দেশ।
বিকল দেহে বিকল মাংস থাকবে এখানে পড়ি,
উড়ে যাবে আত্মা আমার মর্তলোককে ছাড়ি।