পৃথিবীর আর কেউ না জানলেও অামি জানি আমি কে।
আমি জানি আমার পরিচয়।
আমি জানি আমার কেনো জন্ম।
আমি জানি আমার মৃত্যু।
আমি আত্মবিশ্বাসী আমার কর্মে।
আমি ভালোবাসি আমার জীবনকে।
আমি ভালোবাসি নিজেকে।
আর তাইতো সকল ছলনার দুয়ার ভেঙে সকালের উদীয়মান সূর্যের দর্শনে ছুটে এসেছি।
দেখেছি কিভাবে প্রাণস্পর্শ লাগে দূর্বাঘাসে।


তোমার ঘরের গণ্ডি ছেড়ে দেখে এসেছি দিগন্ত।
হেটেছি গন্তব্যহীন।
শিখেছি উদারতা।
হাতের চুড়ি ভেঙে ফেলে হাতে ঘড়ি পরেছি।
তাই বুঝতে পেরেছি সময় ও সময়ের পরিবর্তন।
চিরাচরিত সেই খুন্তিটিও আজ ফেলে দিয়েছি
আর কলম হাতে নিয়েছি।
তাই তো লিখতে পেরেছি।


আজ লিখছি আমার আবেগের কথা,
আমার ভালোবাসার কথা,
আমার প্রেমের কথা,
আমার ভালোবাসার অবমূল্যায়নের কথা,
অপমানের কথা,
ধর্ষণের কথা,
ঘরের কোণে কুকুরের মতো ব্যবহারের কথা।
তোমাদের বিবেকহীনতার কথা।
তোমাদের হৃদয়হীতার কথা।


আমি লিখেছি ক্ষুধার কথা, তৃষ্ণার কথা।
আমি লিখেছি প্রাণের স্পর্শের কথা।
আমি লিখেছি আমার দূঃখ সুখের কাব্যগাঁথা।
যেখানে আছে আমার হাজার বছরের ইতিহাস।
আমার শত শত বছরের লাঞ্চনার কথা,
আমাকে মানুষ হিসেবে অস্বীকারের কথা।
আমাকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কথা।
আমার উত্থান-পতনের কথা।
আমার সোচ্চারকণ্ঠী চিৎকারের কথা,
সময়ের পরিবর্তনের কথা।


আজ আমি উজ্জ্বল বলয়।
আমি জানি আজ আমি অগ্নি।
আমার শিখায় আজ
তোমাদের সকল মিথ্যে পুড়ে ছাই হয়।
কিন্তু তার প্রতিদানে তোমরা পুড়িয়ে ছাই করে দাও
তোমাদের সাথে গড়া আমাদের সাজানো সংসার।


তবে জেনে রাখো,
আমার জন্ম হয়েছে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে।
আর আমার মৃত্যু কলম থেমে গেলেই।
আমি নারী তবে পুরুষের মা।
আর আমি স্ত্রী হলে দেবী দূর্গার অন্যপুণ্যা রুপে।
আমি মেয়ে হলে তিতুমীর কন্যা।
আমি বোন হলেও সেই আরব্য কন্যা,
যে ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধে লড়ে।
আমি জানি আমার পরিচয়।
আমিই প্রাণস্পর্শদানে নিয়োজিত,
আমিই উদারতার প্রতীক আর আমিই বিদ্রোহী।