বাবা তার সন্তানের পিঠে নিজের নাম লিখে,
মৃত্যুর পর মানুষ বলবে—অমুকের ছেলে দেখে।
নিজের কবর বানিয়ে ছেলে—বাবাকে বলে,
এখানেই যেনো শায়িত করে—মৃত্যুর কালে।
বারো দিন না খেয়ে মা—আত্মহত্যা করে,
"ব্যর্থ আমি, সন্তানের কষ্টে—আগেই তো গেছি মরে।"
কাটা হাতটি পরম যত্নে—ব্যাগে রেখে দেয় ভাই,
ভয়ে সতত হাত দিয়ে—ধরতো তাকে তার ভাই।
এক শিশু মৃত্যুর আগে—ভিডিও বার্তায় কয়,
“আমি মারা গেলে খেলনাগুলো—হাসানকে দিও, আমার নেই ভয়।”
বিয়ের গাউনে ছবি তোলে—তরুণীর হাসিমুখ,
বোমার আঘাতে ছিন্ন হলো—তার ক্ষণিক সুখ।
বাবার পিঠে মৃত সন্তান—কবরের জায়গা নাই,
ভাবছে, সকল চিকিৎসা করাবে—জানে না মৃত হায়।
সেনাদের কাছে পানি চেয়েছিলো—তৃষ্ণার্ত এক মেয়ে,
করুণ শব্দ, পড়েছিলো—কপালে গুলি খেয়ে।
সন্তানের জন্য স্যুপ আনছিলো—যত্ন করে নিয়ে,
স্যুপ আর রক্ত একাকার হলো—আধুনিক ড্রোন দিয়ে।
দফায় দফায় হামলা চালায়—আশ্রয় শিবিরের মাঝে,
মৃত্যুর লীলাখেলায় যেনো—নিষ্ঠুর যমরাজ সাজে।
মায়ের পেট কেটে ফেলতো—অবুঝ ছেলের দৃষ্টি,
জানেই না সে কেন হলো মৃত্যু—আর কেনইবা তার সৃষ্টি।
বোমার শব্দে খাঁচার পাখির—অকালেই প্রাণ যায়,
নিতর দেহ কোলে নিয়ে ভাই—দুঃখের গান গায়।
ধ্বংসস্তুপের নিচে ছোট্ট ছেলে—পরীক্ষার খাতা হাতে,
শিক্ষক বলে, “এ প্লাস সে —পেয়ে গেছে আখেরাতে।”
অর্ধশতক গণহত্যা—শিশুর পলকহীন লাশ,
নিশ্চুপে কাটবে কত—এমন বছর, মাস?
আরব চুপ, মুসলিম চুপ—চুপ পুরো বিশ্ব,
নতুনের টানে ভুলে যায় সব—সেই করুণ দৃশ্য।
নিশ্চিত মৃত্যুর আগে—যখন শেষ চেষ্টা করে,
ফতোয়াবাজরা চেঁচিয়ে উঠে—ট্যাগ দেয় মুখ ভরে।
ওরা শিয়া, ওরা সুন্নি—আরো কত প্যাঁচ মনে,
দুদিন পরে লাশ হবে সব—ট্যাগ দিবে কোন জনে?