চাষির বাড়ি চিলে কোঠায়
বাঁধলো চড়ুই বাসা ।
তাই না দেখে ঘুম হারালো
কিপটে লোভী চাষা।
সদ্য দুদিন ধান কেটেছে
কাল হবে সব ঝাড়া ।
ঠিক ঠাক সব চলছিলো বেশ
আসলো হঠাৎ ফাঁড়া ।
চিন্তায় চাষা ভুললো ভাষা
ছাড়ল নাওয়া খাওয়া।
এই বুঝি তার বন্ধ হলো
হৃদ যন্ত্রের হাওয়া।
এই না দেখে গিন্নী চাষা
বললো কি গো হলো।
কি হয়েছে কদিন ধরে
আমায় খুলে বলো।
চাপড়ে কপাল বললো চাষা
কি আর আছে বাকি
চিলে কোঠায় ঘর বেঁধেছে
জোড়া চড়ুই পাখি।
চড়ুই তো নয় চড়ুই শুধু
মস্ত গলার কাঁটা
কাটা ধানে ভাগ বসাবে
আচ্ছা বুকের পাটা
বললো হেসে গিন্নি চাষা
খবর তো বেশ ভালো ।
বৃথা তুমি চিন্তা করে
মুখ করেছ কালো।
ধরে আনো চড়ুই জোড়া
রান্না করে খাবো ।
বিনে টাকায় টাটকা তাজা
মাংস খেতে পাবো ।
শুনেই রেগে বললো চাষা
পাগল হলে নাকি
এখন খেলে পাবো শুধুই
ঐ এক জোড়াই পাখি ।
দুদিন বাদেই ডিম পাড়বে
ফুটলে হবে ছানা।
সুদ আসলে বেঁচলে হাটে
মিলবে  কটা আনা ।