আমার গাঁয়ের নিত্যসংগী,
পাল তোলা নৌকা, লাঠি খেলা।
জারি গানের আসর,
লোকজ পল্লী গানের টানে সুমধুর সুর।
জোসনা আলোকিত পূর্নিমাতে রুপকথার আসর।
জমিয়ে তোলা কেচ্ছা কীর্তন।
থিয়েটার "চাষীর মেয়ে হাসি"!
যাত্রা পালায়-"দুঃখীনি কাজল রেখা"" অথবা "মহুয়া"!
দুরের মধ্য মাঠে রাখালের বাঁশি,
গাড়িয়াল ভাইয়ের দরাজ গলায় দরদী সুরে অচেনা গান।
কাঠের চাকার একটানা ক্যাকর ক্যাকর শব্দ।


নদীর তীরে কাশফুল,
দক্ষিনা মলয়ে দোলায়মান পুষ্পবাগান।
গাঁয়ের আঁকাবাঁকা পথে গরু বা মহিষের গাড়ী।
বধুয়া যায় বাপের বাড়ি।


হা ডু ডু, কাবাডি, কানামাছি, গোল্লাছুট, ছি কুত কুত,
কি আনন্দের গ্রাম্য খেলা।
সবে মিলে খেলিতাম পড়ন্ত বেলা।


আজ এ অবেলায়,
মনে পড়ে যায়।
কালের গহবরে সকলি হারায়!