যখন নগর জীবন আমাকে গ্রাস করে,
যান্ত্রিকতায় ইট, পাথর, লোহা দিয়ে গড়া,
ব্যস্ততার একেকটা ক্লান্তিকর সারাদিন।
আর তখন তুমি গ্রাম্য কৃষকের আঙিনা করে আলো,
নুপুরে ভালবাসার কোমল সুর তোল।
পরিশ্রমী গ্রাম্য যুবক সারাদিনের কর্মক্লান্তিতে,
প্রশান্তি খুঁজে তোমার আঁচলে।
তুমি যে তার আদরের বউ!
ভাবতেও পারিনা কি কল্পনায় কি আল্পনা হল!
আমার কি ত্রুটি ছিল?
আমি তো মন প্রাণ দিয়ে তোমাকে চেয়েছি।
আর তুমিই তোমার পথচলা শেষ করে দিলে।
কষ্ট পেলাম শুধু আমি!


মনে আছে তোমার?
দুটো লজেন্স আমার হাতে দিয়ে খাইয়ে দিতে বললে,
দিলাম!
অতঃপর তুমিও আমার মুখে পুরে দিলে একটা।
তারপর সেই জগৎ উন্মাদনা করা হাসি,
একটা গোলাপ কলি হাতে বলেছিলে যা,
তা তুমিই প্রথম বললে।
অতঃপর প্রতিদিন কত লেনদেন!


আজ সময়ের ব্যবধানে তুমি কারো আদিম সুখের উৎস,
সুখ দাও, সুখ বিলাও!
আর আমি তোমার দেয়া প্রথম ফুলে বিরহের বাসর সাজাই।
আর মধ্যরাত একা কেঁদে কাটাই,
তোমার স্মৃতি বুকে ধরে।
বড় অদ্ভুত তুমি!
কারো সুখের প্রধান উৎস!
আবার কারো বিরহ কষ্টের সারা রাত্রির প্রজ্জ্বলিত দীপশিখা।