হেমন্তের শিশির ভেজা রাত্রে, খোলা বাতায়নের পাশে বসে,
সুদূর আকাশে একটা নক্ষত্র দেখতাম, পরম মমতায় ভালবেসে।
কৈশোরে তার অপরূপ রূপে, আমি মুগ্ধ হয়েছি বারবার,
কল্পনা করেছি মনের নিরালা মন্দিরে, খুশি যত বার।
অনুভবে খসে যেত নক্ষত্রটি, ছুটে এসেছে আমার খোলা বাতায়নে,
আমি দৃষ্টি দিয়ে তাকে কাছে ডাকতাম, একান্ত আপনার করে দেখেছি দু'নয়নে।
কি অপূর্ব সৌন্দর্য্য, অপরূপ রূপে আমি মুগ্ধ হতাম বারবার,
কৈশোরের ভালবাসায় ফুটন্ত ফুল, ভাবনায় শত সহস্র ভুল আমার।
সে আমার অনেক সাধনার ধন, তার তরে সঁপেছি আমার এই মন,
মনের আকাশে উদিত নক্ষত্র আজ, আমার একান্ত আপন।
দখিনা বাতায়ন খুলে দেখতাম, সুদূর আকাশ হতে সে আমার পানে,
মিটি মিটি হাসছে, নিষ্পাপ এক ভালবাসার মোহ টানে।
অনুভব আলিঙ্গনে সে আমায় বুকে জড়িয়ে নিত, গভীর মায়ায়,
কত ভালবাসি তারে, দিন, মাস পেরিয়ে আজ বছর যায়।
তার সকল স্মৃতি মানসপটে ভাসে, ঘুম ভাঙ্গায় শিহরিত দীর্ঘশ্বাসে,
মনে পড়ে কত কথা, ভাবতেই পারিনা চোখ লোনাজলে ভাসে।
তার স্নিগ্ধ রূপে অবগাহন করেছি, বুনেছি সুপ্ত বাসনার জাল,
বাসনার কুঁড়িগুলি সুপ্তই রলো, প্রস্ফুটিত হবেনা কোন কাল।
মনের জানালা খুলে সে আসত, আপনভাবে একান্ত পাশে বসত,
নতুন জীবনের সাজানো গোছানো, কি সুন্দর রূপকথাময় গল্প বলত।
গল্প বলতে বলতেই কখন কোন ভোরের প্রভাতে, হারিয়েছে সে,
অদৃশ্য আজ আমায় হতে, অনুভবে উদিত হয়না মনের আকাশে।