জীবনে প্রাণের স্পন্দণ, যৌবনের ঢেউ,
শরীরের ভাঁজ ভাঙ্গে, পিচ্ছিল জোয়ারে ভাসে, ঢেলে দেয় নির্মাল্য জল,
অগাধ জলে ডুবে, আমার কবিতার মায়া ঘুমায়।
কবিতার মায়ায় অবগাহন করতে চাই, সাঁতরাতে চাই!
ব্যর্থতার বিপন্নতায়, পরাজয় মেনে নিতে হয়।


অতঃপর আবার আশাতে চেয়ে থাকি বাদলা আকাশের পানে!
বৃষ্টির জলের ফোঁটায় কবিতার মায়া খুঁজি,
করিডোরে দাঁড়িয়ে, ছুঁয়ে আসি বৃষ্টির জল,
হাত বেয়ে কবিতার মায়া শিহরণ জাগায়, মেঘ বৃষ্টির জলে!
সাদা কাগজের বুকে ঢেলে দেই, কালো কলমের কালির অক্ষরে।
সঞ্চিত আমার কবিতার ভাষা, কবিতার মায়ার আবেগ।


বিয়ের নেমন্তন্ন কার্ড পড়ে আছে, আমার কবিতাকে ছুটিতে পাঠাবে বলে,
আপন ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা, নতজানু আমি, পরিবারের দায়িত্বের কাছে।
বিয়ের কার্ডে, কবিতার মায়ায় মাঝরাতের আঁধার!
কবিতার মায়ায় ঝরে পড়া শব্দের, আগ্নেয়গিরি উত্তাপে অসীম হাহাকার!
শেষে আমার কবিতার মায়া, বর-বধু সাজে,
নব দম্পতি ভাই-ভাবী চুমু খায়, কবিতার মায়ার আদিম শব্দ ভান্ডারে।
সুখনিদ্রায় পড়ে থাকে, আদিম শব্দ আর আমার কবিতার মায়া।
কবিতা মায়ার ছন্দ, নির্মাল্য জল, পিচ্ছিল জোয়ারে ভাসে,
কবিতার আকাশে আমি বৃষ্টির জলের ফোঁটায়, কবিতা লিখি বহুদিন পর!


*আমার ভাইয়ের বিয়ের কারনে কয়েক'টা দিন বাধ্যতামুলক বিরতি নিতে হয়েছিল আসর থেকে, আজ থেকে আবার ফিরছি নতুন ভাবী আর ভাইকে উৎসর্গ করা এই কবিতা দিয়ে।