রেবা'র তখন বোঝার মত, উঠতি বয়স,
চাচাতো ভাই, নানা বাহানায় শরীর ছোঁয়ার দেখায় সাহস।
সেসব কিন্তু বুঝতে পারে, অসহায় রেবা,
লোকলজ্জা, সমাজ রীতি, অপবাদের কলংক, সাহস দিবে কেবা!


রেবা তখন সেভেনের ছাত্রী, পড়ালেখার চাপ,
হাউজটিউটর নীরবে হাত ঘষে, ভয়ে পালিয়ে ছাড়ে হাঁপ।
কিছুই করার নেই, নীরবে সহ্য ছাড়া,
নিয়মের জাল রুদ্ধ করেছে, পাশে কেউ নেই, দেবে সাড়া!


রেবা তখন নাইনে, বাড়ীতেও থাকে কাজ,
মেহমান ঘরে, খালুর সাথে এক বিছানায়, কিসের এতো লাজ!
রাতে ঘুম ভেঙ্গে, জাপটে ধরেছে কেউ,
মুখ বুজে সহ্য করে গেল, মনে অজানা শংকার ঢেউ।


রেবা কলেজ ফার্স্ট ইয়ারে, পরিপূর্ণ নারী,
প্রফেসর আড় চোখেতে, পড়ার কথার ছলে ডাকে বাড়ী।
বায়োলজীর মানব চ্যাপ্টার দারুন পড়ান স্যার,
অজুহাতে আলতু করে হাত চাপেন, মুখে শয়তানি হাসি তার।
উত্তর দিলে, বাহবা বলে, হাত বুলাতো পিঠে,
জ্ঞান পাপীদের এমন পাপে, শয়তানের মুখেও হাসি ফুটে।


রেবা এখন বিবাহিত, স্বামী ব্যস্ত ব্যবসায়ী,
সময় কম বউয়ের তরে, অনেক কাজে ভরসা দেবর ভাই-ই।
তাহার চোখে আরাধ্য কামনার, লোলুপ দৃষ্টি,
রেবা কিন্তু সব বুঝেছে, না বুঝার ভান, চোখে অভিমানের বৃষ্টি।