আজ তোমার আগমনের, প্রতীক্ষার পালা শেষ,
আমাদের নতুন দুনিয়ায়, তোমাকে স্বাগত জানাই,
তোমার চিৎকারে, আমরা সবাই আজ জাগ্রত,
শত ক্রোশ দূর হতেও, তোমার হল্লা আমার কানে এসেছে!
তুমি এসেছ আমাদের মাঝে, স্থায়ী অতিথি হয়ে,
শুভ কামনা আজ, শুধুই তোমারই তরে।


তোমার আগমনে, তোমারই জন্য আজ আমার এই আর্শীবাদ কথন,
তুমি যখন মায়ের গর্ভে, দুনিয়ার আলো দেখার অপেক্ষায়,
কত শংকা বাসা বেধেছিল, প্রবাস জীবনে তোমার বাবার বুকে!
হ্যা, সেই তোমার বাবা, শাস্ত্রের পরম পূজনীয় পিতৃদেব।
তোমারই অপেক্ষায়, শত কষ্টেও স্বপ্নের জাল বুনে,
অজানা এক অপার সুখে, হাসতো তোমার মা!
তোমার বাবা মায়ের কথা হতো, কবিতার ভাষায় শব্দ ছন্দে।
কত অপার অসীম ছোট ছোট ভাবনা, পরিকল্পনার দ্বিধাদ্বন্দ্বে,
কেমন হবে, আমাদের নয়নের মনি!
কি নাম রাখবে ওর, বলতো শুনি!
কখনও কথার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও, ভাবনার সংযোগ অবিচ্ছিন্ন!
তোমার জন্য কত, আকুল করা ব্যকুল ভাবনায়, নিরবিচ্ছিন্ন দু'জন,
তোমার বাবা-মা, তোমার জন্যেই, শুধুই তোমার তরে নিবেদিত।


তীব্র আওয়াজ তুলে কাঁদলে, আমরা জানলাম, জানল দুনিয়া,
তুমি এসেছ, আমাদের বুকের উঠোনে, জায়গা করতে ব্যস্ত আমরাও।
আমি শুনেছি তোমার কান্নার আওয়াজ, এই এখানে বসে!
তখনই মন খুলে, বুকের ছাতি ফুলিয়ে চওড়া করেছি,
আমাদের বুক জুড়ে খেলো তুমি, হে শ্রীমান।
তোমার জন্যই আমার এই অশেষ, আর্শীবাদের স্থান।


উৎসর্গঃ আসরের কবিবন্ধু শিমুল শুভ্র ও রুম্পা শিমুলের, নবজাতক শ্রীমানের প্রতি আর্শীবাদ।