তুমি বন্দী বলেই, মানব খাদ্যে নির্দ্বিধায় মিশে ফরমালিন বিষ।
তুমি বন্দী বলেই, নারী-শিশু আজ আমাদের কাছে সস্তা পণ্য।
তুমি বন্দী বলেই, খোদ জাতীয় সংসদেই গনতন্ত্রের বস্ত্র হরন হয়!
তুমি বন্দী বলেই, ছাত্রের হাতে পিস্তল, রামদা আর চাপাতি।
তুমি বন্দী বলেই, গণ ধর্ষনের শিকার নয় বছরের ছোট্ট মেয়েটা!
তুমি বন্দী বলেই, এসিডে ঝলসে যায় জমিলার স্বপ্ন।
তুমি বন্দী বলেই, অবাধে ঘুষের লেন দেন।
তুমি বন্দী বলেই, কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানী।
তুমি বন্দী বলেই, ডাস্টবিনে নবজাতক ফেলে যায় জন্মদাত্রী মাতা।
তুমি বন্দী বলেই, বিশ্বজিতের রক্ত আজ জাতীয় পতাকার লাল আভায়।
তুমি বন্দী বলেই, হিন্দী সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তামাশা।
তুমি বন্দী বলেই, রামুতে মন্দিরে দেবী প্রতিমায় আগুন জ্বলে।
তুমি বন্দী বলেই, মালো পাড়া হিংসা, প্রতিহিংসায় পুড়ে।
তুমি বন্দী বলেই, সাগর রুনীর ছেলে মেঘের আর্তনাদ।
তুমি বন্দী বলেই, বি এন পি জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে নামে।
তুমি বন্দী বলেই, আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সরকার গঠন করে।
তুমি বন্দী বলেই, স্বৈরাচার আবার ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে।
তুমি বন্দী বলেই, ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ব্যবসা চলে।
তুমি বন্দী বলেই, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে রাজত্ব করে।
তুমি বন্দী বলেই, রাজপথে মুক্তিযোদ্ধা রিকশার চালক।
তুমি বন্দী বলেই, মুক্তিযোদ্ধার সম্মান আজ মাটিতে মিশে।
তুমি বন্দী বলেই, এফ এম রেডিওতে প্রাণ প্রিয় বাংলা ভাষার বিকৃতি।
তুমি বন্দী বলেই, হরদম চলে মিথ্যাচার।
তুমি বন্দী বলেই, মানুষ মানুষকে ঠকায়।
তুমি বন্দী বলেই, দেশে গুম খুন আজ নিত্য ঘটনা।
তুমি বন্দী বলেই, ফিলিস্তিনের মুসলিমরা আজ এতো অসহায়।
হে প্রিয় বিবেক, মানবতার বিবেক, মনুষত্ব্যের বিবেক!
রক্ত দিয়ে, চোখের জলে, তোমার মুক্তি চাই।
মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় প্রার্থনা, শুধু তোমার মুক্তির জন্যে।
তুমি মুক্ত হয়ে এসো, মুহাম্মদের বিবেকে স্নান করে,
যীশুর ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে, শুদ্ধতা নিয়ে,
দূর্গার ধ্বংশ রুপে তুমি এসো, শাণিত বিবেকের বল্লম হয়ে,
বুদ্ধের সন্যাসী বিবেকের পরশে তুমি, মুক্তি দাও সারা দুনিয়াকে,
নেলসন মেন্ডেলার বিবেক হয়ে এসো, বাংলার রাজনীতি মগজে।