কবিতার এক একটা শব্দ যেন এক একটা অমূল্য ধাতু!
শ্রমিক যেমন কঠোর শ্রমে নিজ কর্ম সিদ্ধ করে-
তেমনি কবি তার মস্তিষ্কের মগজ গলিয়ে শব্দ বের করেন!
এক একটা শব্দ মিলে একটা বাক্যে পরিণত হয় সুন্দর কবিতার লাইন।
পংক্তিমালা! যেন বাঙ্গালীর ঘরে পুত্র সন্তান!
খুশিতে চেয়ে থাকেন! নির্ভুল উচ্চারণে বারবার পড়েন।
প্রিয় কবিতা আমার, কবে দেখবে প্রকাশের মুখ!
বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে অন্তরের না বলা কথাগুলোকে কবিতায় লিখেন!
হাফ ছেড়ে বাঁচেন কবি!
একটি সার্থক কবিতা শেষে মনে মনে বলেন-
প্রিয় কবিতা এইবার তুমি বালেগ হলে!
আমার ভরসা তুমিই, পথ দেখাও গন্তব্যের।
গর্বে ভরে বুক, আমি কবিতার পিতা, আমি কবি।
যখন সেই কবিতা বিকলাঙ্গ! অর্থহীন কিংবা অশ্লীল, অসম্পুর্ণ!
সেই কষ্ট হৃদয়ের গভীরে লাগে!
হতাশ সৃষ্টিহীন সময় কেটে যায় কবির!
তারপর আবার হয়তো কলম ধরেন হতোদ্যমে!
আবার খোঁজ কবিতার ভালবাসায় স্বচ্ছতা নিয়ে!
এই কবি জানেন, আবার তার কবিতা বিকলাঙ্গই হবে।
তবুও মনের সান্ত্বনায় লিখে চলা!
অসম্পুর্ণ কোন কবিতা!