ছেলেটি ভালোবাসতো, একতরফা ভালোবাসা!
তাতে লাভ কি!
অনেক বুঝিয়েছি তাকে, কোন লাভ হয়নি।
উল্টো তার আজব স্বপ্নের কথা গুলো শুনিয়ে ছেড়েছে আমাকে।
তাকে নিয়ে সবুজ পাহাড়ে কল্পনার ফানুস ওড়াবে!
মেঘের ভেলায় বসে, হিম শীতল নীল আইসক্রিম খাবে,
সমুদ্রের ঢেউয়ে ভালোবাসার ডিঙি ভাসাবে,
ভর দুপুরে ঘাস ফড়িঙের পিছে ছুটবে!
আরো কত কি! ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়!


মাথায় ঢোকে না ভালোবাসার জটিল সব সমীকরণ,
ছোট বেলায় অংকে খুব কাঁচা ছিলাম তো!
সাতের ঘরের নামতা বলতেই গুলিয়ে ফেলতাম,
এখনতো চারদিকের ভালোবাসার হিসাব বড্ড জটিল!
তারপরও ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা করি,
একতরফা ভালোবেসে লাভ নাইরে পাগলা!  
ছেলেটি রহস্যে ভরা হাসি দিয়ে আমাকে আরো বিভ্রান্ত করে!  
সে নাকি বাসবেই ভালো, হোক না সে ভালোবাসা একতরফা!


আজব! বুঝি না কেন মানুষ একতরফা ভালোবাসার মতো পাগলামীটা করে,
আরে বাবা! দুই তরফা ভালোবাসাতেই যত কষ্ট!
তো তাই তুমি মহাপুরুষ, একতরফা নিয়ে ব্যস্ত!  
বাদ দাও হে, ক্ষ্যান্ত দাও এবার,
শেষবার যখন ভালোবেসেছিলে মনে আছে সে কথা!
তখন তো খুব বড় বড় করে বলেছিলে তাকে ছাড়া তুমি বাঁচবে না!  
তার জন্য তোমার সব! আর এখন!
সে চলে যাওয়ার পর যখন বেশ কিছুদিন একা ছিলে,
তখন কি খারাপ ছিলে! কত সুন্দর ছিলো দিনগুলো!
সিগারেট, আড্ডা,কর্মময় দিন শেষে আরামের বিছানা,
সে তো তোমাকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল,
তাহলে কেন আজ আরেকজনকে একতরফা ভালোবেসে যাচ্ছো!
তোমার মতলবটা কি শুনি!


জানি, জানি! এখন বলবে সে নিজ ইচ্ছাই চলে গেছে,
কিন্তু কেন চলে গেছে সেটা কি একবার ভেবে দেখেছো!
সে তোমার এই ছন্নছাড়া জীবনটাকে অপছন্দ করে চলে গেছে,
তোমাকে অপছন্দ করে না, হে নির্বোধ বালক!
আগে নিজের জীবনটা তো গুছিয়ে নাও।


জীবন গুছাবে না! কেন?
একতরফা ভালোবাসায় জীবনের মূল্য নাই বলে!
বাহ! চমৎকার যুক্তি!
সেজন্যই বুঝি একতরফা ভালোবাসা বেছে নিয়েছো?
তুমি আসলে একটা পাগল! হ্যাঁ, শুধু পাগল নয়, বদ্ধ পাগল!  
বেসে যাও তুমি, তোমার একতরফা ভালোবাসা,
কিন্তু খবরদার! আর আমার সাথে কথা বলতে আসবে না,
তোমার আর আমার মধ্যে অনেক পার্থক্য সেটা বোঝ তো!
দূরে থাকো আমার কাছ থেকে, অনেক দূরে।


নিজের সাথে নিজে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত আমি!
বোঝাতে পারি না নিজেকেই,
হয়তো বা বুঝতে পারিনা নিজেকে!  
দেখি কতদিন চলে এই বোঝা আর না বোঝার খেলা।