"বিশ্বাস"
কখনো নিজেকে স্থির রাখতে শেখায়,
কখনো কখনো বদলে যেতে শেখায়।


"যুক্তিতর্ক"
কখনো সত্যের কাছে মিথ্যের পতন ঘটায়,
কখনো'বা অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।


"লোভ"
কখনো কখনো পরিশ্রমী হতে শেখায়,
কখনো'বা অসৎ ইচ্ছাশক্তির বিকাশ ঘটায়।


"অর্থ-বিত্ত"
কখনো কখনো দানশীল হতে শেখায়,
কখনো'বা নিষ্ঠুর নির্দয় হতে শেখায়।


"অভাব"
কখনো কখনো স্রষ্টার প্রতি ভক্তি বাড়ায়,
কখনো'বা অপরাধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


"অবহেলা"
কখনো কখনো স্বাবলম্বী হতে শেখায়,
কখনো আবার বেঁচে থাকার ইচ্ছের অন্তরায়।


"উৎসাহ বা প্রশংসা"
কখনো সামনে এগিয়ে যাবার পথ দেখায়,
কখনো আবার অহংকারী হতে শেখায়।


"অবজ্ঞা"
কখনো কখনো স্বনির্ভর হয়ে চলতে শেখায়,
কখনো আবার আত্নবিশ্বাসকে নিঃশেষ করে দেয়।


"ভরসা বা আস্থা"
কখনো লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক হয়,
কখনো'বা সুসম্পর্কেও ফাটল ধরায়।


"শাসন"
কখনো আদর্শবান হতে শেখায়,
কখনো'বা অবাধ্য হতে শেখায়।


"আদর"
কখনো দায়িত্বশীল হতে শেখায়,
কখনো'বা উচ্ছৃঙ্খল হতে শেখায়।


"ক্ষমা"
কখনো সংশোধনের সুযোগ করে দেয়,
কখনো আবারও ভুল করার পথ দেখায়।


"ভালোবাসা"
কখনো কখনো নতুনধারার স্বপ্ন দেখায়,
কখনো'বা স্বপ্নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।


"স্বপ্ন"
কখনো হাজার বছর বাঁচতে শেখায়,
কখনো'বা নিমিষেই মরতে শেখায়।


"সন্দেহ"
কখনো আগলে রাখতে শেখায়,
কখনো ঘৃণা করতে শেখায়।


"ঘৃণা"
কখনো বিকল্প উপায় খুঁজতে শেখায়,
কখনো'বা ঘাতক রূপে মিশতে শেখায়।


"বাস্তবতা"
কখনো প্রতিকূলতায় লড়তে শেখায়,
কখনো আবার স্বার্থপর হতে শেখায়।


"আবেগ"
কখনো সুখের আনন্দে হাসায়,
কখনো'বা দুখ সাগরে ভাসায়।


"মান-অভিমান"
কখনো সম্পর্কের বাঁধন শক্ত করে,
কখনো বিচ্ছেদের কারণ হয়ে পড়ে।


"রাগ"
কখনো সমস্যা সমাধানের শাস্ত্র হয়,
কখনো আবার ক্ষতি সাধনের অস্ত্র হয়।


"ধৈর্য"
কখনো সফলতার প্রধান সূত্র হয়,
কখনো'বা পিছিয়ে পড়ার মিত্র হয়।


"সত্য"
কখনো গর্ব করতে শেখায়,
কখনো'বা লজ্জার কারণ হয়।


"ভাগ্য"
কখনো চাহিদার চেয়ে বেশী দেয়,
আর কখনো'বা সর্বস্ব কেড়ে নেয়।


যেহেতু সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটো দিক আছে,
তাই জীবন সাজাতে হবে দেখেশুনে জেনে-বুঝে।


শপথ করি,
"জীবন গড়বো সততায়,
হারি জিতি না পাই ভয়।"