কোনো এক অচীন দেশে
গিয়েছিলাম ছদ্মবেশে।
খুজিতে মনি, মুক্তা, রত্ন-ভাণ্ডার
খুজিতে খুজিতে আসিলো এক ঝড়
চারিদিকে নামিয়ে কালো অন্ধকার।


আশ্রয় নিলাম এক পুরানো মন্দিরে
কি যেন এক আচমকা শব্দ সে ঘরে।
হঠাৎ মৃদু আলোয় আলোকিত করে
এক রমনী ডাক দিলো অস্পষ্ট স্বরে
কি করেন মশাই এই লাশ কাটা ঘরে?


ভয় পাবো? না দেখবো তাকিয়ে
সুন্দরী মায়াবীনী কোমর দুলিয়ে।
দাড়ালো পাশে, একটু শরীর ঘেষে
বিষ্ময়ভরা দুচোখে, গভীর আবেশে
মগ্ন আমি তার এলিয়ে পড়া কেশে।


চারিদিকে যেন তার বিচরণ
মন মাতানো অদ্ভুত শিহরণ।
মৃদু স্বরে সুধালো আমায় সে
কেন আমি এমন ছদ্মবেশে?
আচমকা সম্বিৎ ফিরে পেয়ে
কেপে উঠলো শরীর ভয়ে
কি বলবো ভাবছি প্রশ্ন এড়িয়ে।


আপনি কি দেবী না মায়াবিনী?
না কোন এক আশ্রিতা বিদেশিনী?
তাকালো আমার দিকে ঘাড়টি ঘুরিয়ে
বিষ্ময়ভরা তার দুচোখে অগ্নি ঝরিয়ে
চোখে চোখ পড়তেই পড়লাম লুটিয়ে।


জ্ঞান ফিরতেই সামনে দেখি বউ
আর ছিলোনা আশেপাশে কেউ।
চোখদুটো ভালো করে ধুয়েমুছে
খুজছিলাম আর কে আছে পিছে,
যা দেখিলাম সব ছিলো কি মিছে?


এলমেলো সব চিন্তার ভিড়ে
তাকালাম বৌয়ের দিকে ফিরে।
বৌ তার রক্তরাঙ্গানো চোখে
তাকিয়ে আছে এই ভয়ার্ত মুখে।
বউ বকে যাচ্ছে আবোল তাবোল
সেদিকে চেয়ে আছি হত বিহবল।


হঠাৎ এক হুঙ্কার ছেড়ে সুধালো আমায় সে
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, থাকে কোন দেশে?
পুরুষ মানুষের স্বপ্নেরও নজর খারাপ
ঝাড়ু পেটা করলেও যায়না সে স্বভাব।
ঝাড়ুর কথা শুনতেই এবার পাথর হলাম শোকে
মূর্ছার ভান করে লুটিয়ে পড়লাম ধরনীর বুকে।