যাচ্ছিলাম শিরোনামহীন প্রণয়ের নগরে সৌখিন হাওয়ায় স্বপ্ন আর মুগ্ধতা উত্পাদন করে, মাঝপথে - চমকালো কালো সাপ আর উগ্র ভয়ের আট দশটি অগ্রজ; ভিতু চোখে তাকালাম, জননীর মমতা, মুগ্ধতার বুনন খালি করে আখরোট বুকে উড়াল দিলো ইচ্ছের প্রজাপতি ; সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ বিষে নীল্ শরীর- ক্লান্ত ঠোঁটের কাঁটা-যুক্ত মৃত চুমুর দাগ এরকমভাবে কতোদিন কতোরাত করুণা মুছে মুছে লাশ ঘরে বেনামি আমি জেগে আছি কোথায় যাবো - একজনমাত্র পাহারাদার - আমি


            আমার চোখ তুলে নিলো স্বতন্ত্র রাত- আমার পা ভেঙ্গে বুকের বাঁ পাশে বসে পড়ল যাত্রিহীন বাস-স্ট্যান্ড, তারপর হাত ধরে শুরু বহু প্রতীক্ষিত অন্ধকার, ঝির ঝির বাতাস - ঘুম ভাঙ্গার প্রহরে চিড় ধরা গুনগুন গজল;


             রাজপথ অবাক হলো, জীবিত কঙ্কাল মুখ খুলে চাঁদবুড়ি নিজের কফিন দেখে অবাক হলেন; আশেপাশে সাপ আর মানুষ অবিশ্বাসের জরায়ুতে দিনরাত আঘাত করে তবু ভালোবেসে জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে -মৃত্যু আমাকে জাগালো, ডাক দিলো কেমন আছো।