একেবারে বিদায় বলোনা
তুমি জানোনা ছায়া লোম উপড়ে এখন দুপুরেও ঘণ হয়ে
নামে রাত ; নামিদামী ফুল-পাপড়ি ছিঁড়ে সুগন্ধ ভরে
একাকার হয় লাল ফিতে বাঁধা কিছুটা ঠাঁই;জোস্না গলে
রক্তে ফোটে বোধ- প্রেম, বিবস্ত্র আঙ্গুলগুলো
রক্ত মাংসের হাওয়ার বেলুনে উড়ে উড়ে একবার-
অন্ততএকবার তোমায় নিয়ে রুদ্র হতে চায়।

ঘরে ঢুকে খামচি মেরে মঊতের কাফেলায় কাতর
মানুষ এখনও ভুল করে বাতি নেভায় - নিভতে নিভতে
হঠাত জ্বলে ওঠে অকারণ ভালোবাসে; কারণ দেখিয়ে
যে নদী নিজের ভেতর বান মেরে মরে যেত
বালিশে মাথা রেখে বহুদূরে এখন পার্বতীর কথামতো
ভেজা ঠোঁটে থুতুর জঠর মেখে পালাও পালাও
মন্ত্র- বিনাশ জপে দেবতার কঙ্কাল;

একেবারে বিদায় বলোনা -আমার গাঙ্গুর মনে অন্ধকার
আসন পেতে কোথায় কতদূর গেছে পালাবার পথ -কে
জানে ; হারানো গল্পের চিঠিগুলো আমার কাতর বাম
চোখে জলের খসড়া এঁকে যায়;

একেবারে বিদায় বলোনা কোনোদিন।