জীবনের সূর্যটা যখন অস্ত গিয়েছে নিবিড় হতাশার কোলে
বাবার কণ্ঠ শুনে
অভিমানে বুকের মধ্যে মুখ গুঁজেছি নিশ্চিন্তে
আশ্রয় পেয়েছি শান্ত নদীর জলের মতো।
জীবনের সমস্ত ঝড় মাথায় নিয়ে
যে আমাকে বুকে আগলে রেখেছিলো;সে আমার বাবা।


অভাবের তীব্রতায় ঝরা ফুলের মতো ঝরেছে তার শখ-আহ্লাদ
তবুও বাবা হাতে ধরে ছিল আদর্শের মশাল।
বাবা বলতো,“তুই বড় হয়ে আদর্শের এই মশাল
হাতে নিয়ে বঞ্চিত,অবহেলিত মানুষকে পথ দেখাবি কবে?”


এই অশান্ত অন্ধকার পৃথিবীতে আমি এখন একা!
তোমার হাতের যে মশাল হতাশার অন্ধকারের বুক চিরে
মানুষের চলার পথের উপর ছড়িয়ে দিতো উজ্জ্বল আলো
সেই মশাল, আমার হাতে তেজোহীন
আবছা আলোয় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছি পথের উপর
ব্যথায় কুঁকড়ে গেছে সমস্ত শরীর।
এখন আর কেউ আগের মতো বলে না,
“মানিক আমার,ওঠ; আমি আছি, ভয় নেই তোর ।”
অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়ে বেদনার অশ্রু।


কাছে বসে কেউ আর দু’হাতে মুছিয়ে দিয়ে বলে না
কাঁদতে নেই--!  কাঁদলে, তুমি পরাজিত।
তাই,সমস্ত বেদনা লুকিয়ে আজো শুধু হেসে যায়
বুকে ক্ষত হয়ে জাগে ব্যথা।
অভিমানে কত কি যে মনে আসে
তবুও বাবা! আমি তোমাকেই ভালোবাসি।