পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা, মায়ের হাতে সংসারের ভাঙ্গা হাল
অভাবের চাকায় পিষ্ট কচিকচি ভাইবোন
পরিত্রাণের কোন আশা নেই।
আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে
শান্তনা একদিন বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমাল।
কোন মতে কাজ পেল গার্মেন্টসে।
সেখানে জীবনকে নিংড়ে নেয় শ্রম।
কিছু টাকা বাড়িতে পাঠানোর আনন্দ
শরীরের ক্লান্তির উপর প্রফুল্লতার প্রলেপ আনে।


হঠাৎ একদিন চাকরী খোয়া গেল, কোন প্রতিকারও নেই ;
তবুও তো বাড়িতে টাকা পাঠাতে হবে।
একদিন দেখা গেল তাকে
রমনা পার্কে আধো আলো ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে
প্রেমের সাজানো বাগান বিক্রির আশায় ।


অন্ধকার পেরিয়ে একজন মানুষ এগিয়ে আসতে দেখে
শুকনো ঠোঁটে জোর করে হাসি ফুটিয়ে তোলে।
কি বিষম কাণ্ড! আরে এ তো মানুষ নয় পুলিশ!!
বুকে সব হারানোর ভয়, মুখে বিনয়ের হাসি
ভাসমান মেয়ের সুন্দর হাসিতে মনে ছড়ায় বিষ
চোখ চলে যায় ভ্যানেটি ব্যাগের দিকে
আঁচলে বাঁধা টাকার ছোট্ট পুঁটলিটার দিকে।


দেহের সৌন্দর্য আর মনের আবেগকে ইজারা দিয়ে
ঐ আঁচলে জমিয়েছিল কিছু সঞ্চয়
পুলিশ সব ছিনিয়ে নিলো।
একটি পরিবারের খুশির ছবি ঐ চোখে উঠেছিল জেগে
সেই চোখ এখন পথের দিকে চেয়ে থাকা হরিণীর মত
হায়েনার দল যার শিশুটিকে ধরে নিয়ে গেল।
মনুষ্যত্ব পুলিশের উর্দির নীচে ঢাকা থাকে
সুযোগের সন্ধানে সর্বদা পুলিশের চোখে নগ্ন লালসার ঝড় ওঠে।