বয়স যখন শুণ্য থেকে শুরু
সবাই বড্ড ভালোবাসে লক্ষ্মীসোনার দস্যিপনা
ছোট্ট বুঝি তাই আহ্লাদে আটখানা


বয়স যখন বারোয় পা দিল
এবার বুঝি বড় হলাম
যখন তখন ছুটবো
হাসির ঢেউয়ে খুশির ভেলায় বড্ড মজা লুটবো


বয়স যখন চৌদ্দ থেকে সতেরো
মাসি, পিসি সবাই কেমন আড়চোখেতে দেখে
আগের মতো কেউ নেই আর
সবার বুঝি উদ্দেশ্য চোখে পড়ে


বয়স যখন আঠারো থেকে একুশ
এবার বুঝি বেশ বড় হয়েছি
পুরো জগতটাকে লুটবো
সমাজটা বুঝি বড্ড সেকেলে
পরিবর্তন আনিয়ে ছাড়বো


বয়স যখন বাইশ থেকে চব্বিশে
সংসার ধর্ম কিছুটা বুঝতে পেরেছে অবশেষে
কেউবা স্রোতের তোপে পথ হারিয়েছে
কেউবা ব্যর্থ প্রেমে অগোছালো নির্বিশেষে
কেউবা যদি পেল  মনমতো সাথী
গাটছড়া বেঁধে বলে এসো মালা গাঁথি


বয়স যখন পঁচিশ থেকে ত্রিশ
জীবনটা বুঝি কঠিন এবার
জব,সংসার,ক্যারিয়ার
প্রতিযোগিতার টোপে মুর্ষে গেছে
কত শত মেধা ব্যারিয়ার


বয়স যখন পঁয়ত্রিশে ঠেকলো
মা বাবা কত কষ্ট করেছে
গড়ে দিয়ে গেছে পথঘাট
সম্পর্কগুলো ব্যস্ত এখন
কঠিন হল দিনকাল


বয়স বুঝি চল্লিশে এসে গেল
সংসারী হয়ে পুরোদমে বেশ
চলছে জীবন সংসার
কারো বাড়ি,গাড়ি
কারো মাত্র সেটেল এবার সংসার


বয়স যখন পঞ্চাশে ঠেকে গেল
সমন্ধটি বেশ পেয়েছি
পার করে দিল সন্তান
এবার বুঝি হাফ ছেড়ে বাঁচি
ক্লান্ত ভীষণ আজকাল


বয়স যখন ষাট থেকে সত্তর
এবার বুঝি দায় সেরেছে
জীবনের বায়না থেকে ক্ষান্তি
ছেলেমেয়ে,নাতিনাতনি বেড়েছে
জেঁকে ধরেছে সব ক্লান্তি
ধর্মীয় পুস্তক চর্চা হচ্ছে বেশ
এতেই বুঝি মেলে শান্তি!


- বয়সের স্বরলিপি
-অস্মিতা তালুকদার কৃষ্টি