পিষছে দেখ ফুলের কুঁড়ি
ওপার এপার উনিশ কুড়ি
চুপি চুপি নিশ্চুপ জীবন
সহজ পথ মৃত্যুবরণ
তবু আশা শত আশা
কষ্টের কত অপ্রকাশ ভাষা
চেপে চেপে স্ফিতমন
ঘটবে কবে বিস্ফোরণ?
দুই পাখি ভিন্ন চাই
বৃষ্টি ছাড়াই ভিজে যাই
চোখের জলে নৌকো চলে
ভাটা দেখ জোয়ার স্থলে
সহনসীমা অসীম তোমার
মুক্ত তোমার চোখের দুয়ার
বাক্যহীনা আবলা সে
ক্ষত শত অবিশ্বাসে
অন্ধ তুমি চোখের জলে
মুখ বলে না মন বলে
অতি চিন্তায় অকেজো মন
শূন্য পাখি বৃহৎ্ কানন
হাজার ব্যথার তুমি শিকার
পিছিয়ে কেন মণি আমার?
একাত্ম দেখ অাকাশ পাতাল
সব যেন শোকে মাতাল
দুই তুমি দশ তুমি
আর্তনাদের ঝুমঝুমি
কোমল তুমি কণ্টক ধারো
পাথর করো তোমার কর
পিছনে খাদ সামনে জীবন
গর্বে করো আলিঙ্গন
স্বপ্নপূরণ সিন্ধু পারে
মুক্ত জীবন আলো আঁধারে
দিচ্ছে কেউ আকাশ বাণী
জেগে উঠেছে ঝাঁসির রাণী
শিকল ছেঁড়া দুই হাত
তরবারে যে রক্তপাত
বন্দী দশা বিন্দু হোক
বালির প্রাচীর চিরশোক
লাল শুধুই নামেই থাক
গর্জে উঠুক সব নির্বাক
হাতে দেখ রক্ত রেখা
দুঃখের সাথে সুখের দেখা
হঠাৎ শোনো মেঘের শব্দ
বৃষ্টিহীন দীর্ঘাব্দ....
ক্ষোভে পুড়ে আগুন জ্বলে
নিঃস্ব সব দাবানলে
দু পা দু পা অগুণিত
ভোরের ইচ্ছে হুংকারিত
গর্ব জাগে অলংকারে
ঢিপ ঢিপ ওই পাহাড়ে
বন্দী পাখি পলাতক
খুশি ভেজা অন্তঃত্বক
চিরকালের আকাশ বাতাস
ফেলছে দেখ দীর্ঘশ্বাস....