খুঁজে না পেলেও খোঁজার রেশ থেকেই যায়;
কারণ-অকারণবশত অদ্ভুত মায়ায়।
কখনও চোখের জলকে রুমালে রাখা,
কখনও বা ছেঁড়া চিঠি জোড়া দেওয়া;
তারপরই মনটা হঠাৎ করেই, নবম থেকে একাদশ শ্রেণীতে।
সেই সাইকেল,পিচ রাস্তা,পিছু করার স্বভাব;
টিউশনে তোমার চোখে তাকিয়ে রচনা লেখা,ভৌতবিজ্ঞান বোঝা;
সেই সামনে এলেই চোখ নামা, আর গলার না বলতে চাওয়া;
বাইরের কোলাহলের মরশুমে, নিশ্চুপ ক্লাসে তোমার আমার ঠোঁট ভেজা...
এগুলো সব আজ সম্পর্কের ডোরা দাগে ভরা।
ভুল খামতি গুলো ছিনতাই করার ব্যর্থ চেষ্টা করতে আরও একবার চাই....
একটা সুযোগের জন্য ভিক্ষুক  সেজে রোজ কোনায় বসে থাকি।
প্রশ্নের সাথে প্রশ্ন অনেক আছে,তবু আমি একলা পড়ে রই...
সব উত্তর পত্রই যেন শূন্যস্থানে পরিপূর্ণ,কলমের দাগ পর্যন্ত মেলেনি...
ফের মনে পড়ে,রাবার দিয়ে মোছা তোমার নাম,তোমার চোখ
মান অভিমানের,রাগে পরিণত হওয়ার দিন;
অভিশপ্ত সময়টার কথা।
সব শেষে পড়ে থাকা,বাসি জলের চোখ আর আমি...
জানি পাতাল খোদাই করার পর,উত্তর একটাই আসবে...
"সবই তো শেষ,তবে কেন???"
আমিও অভ্যাসে বলে ফেলি,
রাবার মোছা তোমাতে
কোথাও যেন,
আমাদের সম্পর্কের অবশিষ্ট আছে....
হয়ত প্রকট না,তবে প্রচ্ছন্ন এক অস্বাভাবিক পরিবেশে।
যেটা শত প্রয়াসেও শেষ হবার নয়..….
তুমিও চেষ্টা করে দেখে নিও,আমার মত রোজ...।।।