আমি শুরু করিনি স্বপ্ন নিয়ে, আমি শুরু করেছিলাম দায়িত্বের পাহাড় বয়ে। এইচএসসি শেষে, আলোর পেছনে নয়, চলেছি এক পথে, যেখানে চোখের জলে পা ধুয়ে যায়।

ভর্তির যুদ্ধে কাটিয়েছি রাত, মাথার ভেতর শুধু একটা শব্দ—"সেবা হবে প্রভাত।" তিন বছর—না, শুধু পড়ালেখা নয়, তিন বছর মানে শত জীবন ছুঁয়ে দেখা এক অন্তরঙ্গ পরিচয়।

ইন্টার্নশিপ মানে হালকা গল্প নয়, রাত তিনটায় ডিউটিতে দাঁড়িয়ে, কারও মা বাঁচলে তবেই আসে সান্ত্বনার সংযোগ। আমার আঙুলে রোগীর শ্বাস, চোখে রোগীর কান্না, আমার নিজের ঘুম মানে অন্যের সকাল জাগা।

তবুও সমাজ ভাবে—আমি শুধু এক সেবক! কেন? কারণ আমার নামের পাশে “ডিপ্লোমা” লেখা থাকে শ্লেষের লিপিতে?

তাই আমি বলি— ডিপ্লোমা মানেই ডিগ্রি! এই হাত যে রক্ত থামাতে জানে, সে হাতের মর্যাদা কাগজের নামেই থেমে যাবে— তা হতে পারে না, মানে না আমার হৃদয়, মানে না আমার মা!

ডিগ্রি পেলে যদি সম্মান হয়, তবে তিন বছরের ঘাম দিয়ে লেখা এই জ্ঞান কেন কেবল ছায়া হয়ে রয়? আমার ত্যাগ, আমার শিক্ষা—কেন শুধু উপেক্ষার বোঝা বয়?

আমি কবি নই, আমি যোদ্ধা। আমার কলমে শুধু প্রেম নয়, আছে যুদ্ধের অগ্নিকণা। আমরা চাই স্বীকৃতি—not for pride, but for justice— আমরা চাই সেই স্বীকৃতি, যা স্নাতকের মর্যাদা ছুঁয়ে বলে, “হ্যাঁ, নার্সও একজন পূর্ণ মানুষ।”

তোমরা যাদের অবহেলা করো, তারাই তো মৃত্যুর মুখে আলো দেয়। তবে কেন ডিপ্লোমা মানে অবমাননা, কেন নয় সম্মানিত স্বপ্নের নির্ভরতা?

এই কবিতা নয়, এই মিছিলের আওয়াজ, এই ছন্দ নয়, এই স্বীকৃতির জ্বালামুখে বিস্ফোরণের বাজ।

ডিপ্লোমা মানে ডিগ্রি—এই দাবি শুধু কথার নয়, এটা নার্সদের আত্মার ন্যায্য অধিকার।