পৃথিবীর মধ্যে পৃথিবীর মেলা সদা বিরাজমান, যার অন্তরালে স্থবিরতার নেই কোনো প্রয়াসের বিন্দু;
জগৎ জুড়ে কত বিচিত্র ফুল ফুঁটেছে মনে, কত জীবনদর্শন পাখা ঝাঁপটেছে পৃথিবীর বুকে ছুঁয়েছে বিশাল সিন্ধু!
কারো পৃথিবী আদ্র, কোনোটা জলহীন খাঁ খাঁ মরুময় নেই বদান্যতার লেশ,
কোনোটা আবার বাঁচার বদলে বাঁচানোর রঙ তুলিতে ঘুচাই ক্লেশ;
কেউ মরিতে চাই, কেউ বা বাঁচার তাগিদে লড়ে প্রাণান্তকর লড়াই,
কোনো পৃথিবীর নির্ধনের বুনিয়াদে দায়ী আলোকশূন্য সেকেলে বড়াই
কেউ জীবনের জন্য জীবিকাকে চাই, কারো পৃথিবী সৃজিত অপরের তরে,
কেউ মহাস্বাপ্নিক নিরন্তর তার পৃথিবী রূপায়িত হবে অমরাবতী ঘরে;
কিছু পৃথিবীর গগন-পবনের সবটুকু জুড়ে কেবল স্রষ্টার মহিমায় গাঁথা,
কলুষতার কুয়াশায় ভর্তি কারোটা যাদের উৎপীড়নে পূর্ণ জীবনের খাতা!
জননী হওয়ার প্রবল অভিলাষ কোনো পৃথিবীর বাঁকে বাঁকে করে আর্তনাদ;
বহুকাল ধরে কিছু পৃথিবীর ভ্রান্তির রন্ধ্রে লুকোচুরি করে অস্পষ্ট বিপদের ফাঁদ;
ক্ষিতিতলের উঠান জুড়ে আজ কত পৃথিবীরা উড়িয়েছে বহুরূপী ধ্বজা,
মানুষে মানুষের এই বিবিধার্থ রুপের সমীকরণ পৃথিবীর পূর্ন করেছে সজ্জা!