পায়ে পড়ি বুট জুতা, গায়ে পড়ি কোট,
চট পটে বাবু সাজি হাঁটি গটগট!
জুড়িগাড়ি আজ নাই, চৌচক্র যান।
ভোঁ ভোঁ করে ছুটে চলে বক্র-সটান!
পেঁ-পো করে হর্ন বাজে, কানে লাগে তালা,
ভকভকে কালো ধোয়া, আরে কি যে জ্বালা!


চৌচালা-দৌচালা-ছন-বাঁশ-খড়ি-খড়,
কাদা মাটি কুঁড়েঘর, খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
ইট-কাঠ-পাথরের কত শত বড় বাড়ী,
নগর গড়িছে আজ, গাঁও-গ্রাম পথ ছাড়ি!
মেঠো পথ আজ নাই ঢাকিছে তা কংক্রিট,
ঘাসে ছাওয়া সেঁদো জমি সেথা আজ পাকা পিট।
চষা জমি, ক্ষেতি জমি, ডোবা-জলা যাই হোক
বেনিয়া মননে আজ ধকলের কালো ছোপ।


মানুষ মানুষনাই লোভে আজ উন্মাদ!
ঠকবাজ-ধড়িবাজ-বেলাল্লা কাঁধে-কাঁধ!
পরজীবী নোংরা সমাজের উঁচু পদে!
সদ কথা, নীতি কথা নিভৃতে ঘরে কাঁদে!
যারা আছে জ্ঞানী-গুণী, যাদের আছে চোখ-কান,
ঘৃণা ভরে ত্যাগে তারে রাখিছে নিজের মান!


কালো-ভালো যাই বলো যার নাম আধুনিক,
স্ব-স্বত্ত্বা হরিছে তত নিখাদ প্রামানিক।
নগর-শহর কি বা গাও-গ্রাম যাহাকার,
বাহ্য তৃপ্ত লোকন, অন্তরে হাহাকার!
....