গ্রামের রাস্তায় তেঁতুল গাছে-
মামদো ভুতের বসবাস,
সেই রাস্তায় সবাই দৌড়ে চলে-
পার করে ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস!


শ্যাওড়া গাছে শাঁকচুন্নি-
অট্টহাসি হাসে,
ঘাড় মটকে দেয় যদি কেও-
ধারেকাছে আসে।


আরো আছে পিশাচ ভুত-
শরীরে ভর করে,
ভুতের ভয়ে ভীত মানুষ-
ভয়ের চোটেই মরে।


কেওবা দেখে প্রেতাত্মা-
মৃত মানুষের রুপ,
পানির ধারে থাকে সে বসে-
পুকুর মৃত্যু কূপ।


কেও বা বলে জ্বীন দেখেছে-
এটাও কথা মিছে,
জ্বীনেরা নিজেদের রাজ্যে-
বড়ই সুখে আছে।


স্কন্ধকাটা, ব্রক্ষ্মদৈত্য-
পেত্নী অথবা ডাকিনী,
এসবই অলীক কল্পনা-
বাস্তবে কেওই দেখেনি।


ভুত তাড়াতে ওঝা ডাকে-
জ্ঞানের বড়ই অভাব,
ঝাড়ফুঁকে বড় বিশ্বাস করে-
ভয়ে নষ্ট স্বভাব।


খারাপ জ্বীন ভয় দেখায়-
এটা কিছুটা সত্যি,
তবে ভয়টা তাদেরই দেখায়-
যাদের মনে শয়তানের ভক্তি।


কুফরি কালাম,জাদুটোনা-
কেও মারলে বান,
খোদার কালাম আঁকড়ে ধরাই-
একমাত্র সমাধান।


চলুন জ্ঞানের পরিধি বাড়াই-
জ্ঞানই দিবে আশ্বাস,
কুসংস্কার সব দূর হয়ে যাক-
উঠে যাক ভুতে বিশ্বাস।।