কুয়াশার চাদর আর রাতের আঁধারকে সরিয়ে দিয়ে
ফসলী মাঠটার জেগে উঠার অসংখ্য দর্শকদের দলে
কাঁটা বেড়িয়ে থাকা শিমুল গাছটা যোগ দিয়েছে
আজ প্রায় ত্রিশ বছর ।
প্রত্যুষকালের প্রথম আলোর নরম তাপে শরীরটা ঝলসে নিতে নিতে
শিমুল গাছটা দেখে, সবুজ ফসলের গাছগুলো
কী চমৎকারভাবে ঝিকমিক করে উঠে
শিশিরের তৈরি অলংকারের অলংকরণে।
কিন্তু গাছটা অবাক হয়না ।
কারণ অবাক হওয়ার ক্ষমতা তার নেই ।


পাদদেশে একটা আগুণের কুণ্ড
আর তার চারপাশ ঘিরে পাঁচটি মানবশিশু।
নর আর নারীর ভেদ করার প্রয়োজন এখানে নেই ।
যদিও ব্যাপারটা খুবই সহজ ।
কারণ প্রত্যেকটা শিশুই নগ্ন ।
আগুন ছুঁতে ভয় পায়, কিন্তু
আগুনের দিকেই হাত বাড়িয়ে বসে থাকে।


অমাবস্যার রাতেও চাঁদ থাকে
তার যেখানে থাকার কথা সেখানেই ।
যদিও আমার রাত কাটে মনমরা অন্ধকারে ।
সাগরের ঢেউ ফুলে উঠে আক্ষেপ করে
আবার পূর্ণিমায় তার বুকে বাঁধভাঙে অফুরন্ত উচ্ছ্বাস ।
লাল কিছু কাঁকড়া ঢুকে যায় তাদের নিরাপদ গর্তে ।


কিছুদিন যাবত আমিও ভাবছি
একটা গর্ত করে ঢুকে পড়ব ।
প্রাগৌতিহাসিক কোন হাতুড়ি বা গাইতি নয়
বরং কাঁকড়াদের মতই আমি আমার
গর্ত খুঁড়বো আমার থাবা আর নখর দিয়ে।