শিশুটির কান্না পাচ্ছে ।
শরীরের ঠিক মাঝ বরাবর একটা
ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি তীক্ষ্ণতর হচ্ছে ক্রমশ ।
কেবল তীক্ষ্ণতাই নয়, এর ব্যাপ্তিও বাড়ছে বেশ দ্রুত ।
এই অনুভূতির সাথে শিশুটি পরিচিত নয় ।
কিন্তু এই সমস্যার সমাধান সে জানে ।


এখন সে অপেক্ষা করছে ক্ষুদ্র শরীরের সবটুকু
শক্তি গলার কাছে জমিয়ে ।
‘মা’, নামের মহিলাটা ঘরে প্রবেশ করলেই
চিৎকার করে জানান দেবে
নাম না জানা কিন্তু অতিঅপরিচিত যন্ত্রণার কথা ।
কিন্তু শিশুটি জানে, শেষপর্যন্ত-
চিৎকারটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায় ।
মহিলাটি কোন এক বিচিত্র উপায়ে
চিৎকার করার আগেই পেয়ে যায় তার যন্ত্রণার খবর ।


আকাশে মেঘ জমলে কারো কারো মন খারাপ হয় ।
আর কেউ স্বপ্ন দেখে জল হয়ে নেমে আসা মেঘে স্নান করার ।
আকাশের মেঘের মতো নিছক মৌলিক ব্যাপার ও
তার স্বকীয়তা হারায় – স্থান, কাল আর বিশেষভাবে পাত্রভেদে ।
কিন্তু মহিলাটার জীবন কেটে যায়-
একঘেয়ে, বিরক্তিকর শিশুসেবায় ।