এখানে কথা বলে বাতাস ।
কখনো নিরবতা ভাঙ্গে ফিসফিস করে।
আবার হু হু হাহাকারে, অন্য কোন জগত থেকে আনা-
বিষাদ ছড়িয়ে দেয় আমার-
স্মৃতি চারণের একান্ত নিজস্ব মুহূর্ত গুলোতে ।


ছোট ছোট প্রয়োজনগুলো যেমন গুরুত্ব হারায়
তাদের চেয়ে বড় কোন প্রয়োজনকে জায়গা করে দিতে,
তেমনি একই কারণে বড় প্রয়োজনগুলো
হারায় তাদের উপযোগ ।
তাই আমি এখন গলায় বেশ জোর নিয়েই বলতে পারি
কোন প্রয়োজনই আসলে ছোট নয় ।

অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমার রুপ দেখার
কল্পনা না করলেও, অমাবস্যার-
কালিগোলা অন্ধকারে আমি প্রতীক্ষা করি,
আকাশ চিরে নেমে আসা বিদ্যুতের ক্ষণস্থায়ী আলোর জন্য।
বজ্রপাতের পর নেমে আসা অতি ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তীব্র আলোয়
আমার চেনা পৃথিবীটা, চকচক করতে করতে অচেনা হয়ে যায় ।
সেই চকচকে পৃথিবী দেখে আমার চোখ ঝলসে যাওয়ার
ভয় আমি পাইনা।
বরং আমি তখন রোমাঞ্চিত হয়ে ভাবি একজোড়া
নির্ঘুম, কালো, টলটলে আর চকচকে চোখের কথা ।
যে চোখ কারো প্রতীক্ষায় ক্লান্ত হয়েও
আর কখনোই চকচক করবেনা।


এখন আমার নাটকের জন্য নতুন পটভূমি দরকার হয়না।
চোখে জল না এনেও আমি এখন কাঁদতে পারি।
অথবা, হাসতে পারি ঠোঁটে কোন প্রসারণ না ঘটিয়েই।
তবু এখনো হাসতে হাসতে আড়ষ্ট হয়ে আসে আমার-
মুখমণ্ডলের দুপাশের মাংসপেশী ।
আর মাঝে মাঝে জীভের ডগায়, নোনতা স্বাদের উৎস
খুঁজতে গিয়ে আমার অনুসন্ধান শেষ হয়,
ভ্রু-যুগলের সামান্য নিম্নদেশে।
আর তখুনি আমার মধ্যে জেগে উঠে সেই বোধ।
যা আমাকে বুঝতে শেখায় -
সকল অর্জিত ক্ষমতাই একসময় পর্যবাসিত হয়
গুরুত্বহীন, নিদারুণ ব্যার্থতায় ।