হাজার বছর ধরে ক্ষমতা প্রবৃত্তি গৃহিনীরা
             অন্তরীক্ষে শানিত চোখে উড়ে গেছে
গ্রহ চন্দ্র সূর্য নীহারিকা সময় গ্রন্থির
                                  ত্র্যস্ত হৃদয়ের অলিন্দে।


শৈশব, কিশোর, যৌবনের পথ বেয়ে পৌঢ়রা
চলে গেছে আজ বার্ধক্যের যেন শেষ পর্যায়ে
            সৃষ্টির উত্থান পত্তনের মাটির ভেতর
মানুষের জন্ম মৃত্যুর একই নিয়মে
                                   অপর এক প্রন্তিকে।


তবুও গৃহিনীরা চোখে আরো শান দিয়ে নামে
হেমন্তের প্রান্তরে প্রান্তরে ফসল শিকার করে।


যাদের মৃগয়া রন রক্ত ভেজা মৃত্তিকায়
ক্ষমতা-  স্বাক্ষরতার ঘ্রানে লেগে আছে
হয়তো বা এখনো নৃতত্ত্ববিদেরা তাদের
খোঁজ পেতে পারে কোনো কোনো জীবাশ্মে-
শাষন ত্রাশন সংগ্রামের পর অগাধ প্রাচূর্যে
তারা আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে লীন হয়ে গেছে
                         শেষ সন্ধ্যার আকাশে।


আমরা যারা দ্বিচারন হৃদয়ের ভিন্নতা নিয়ে
পথ চলেছি হাজার বছর ধরে
ভীত ও ভয়ঙ্করের সাম্রাজ্যে-
চোখে বিস্ময় নিয়ে তবু দেখি ভীত আমরা
তাদের পূর্বসূরিরা উড়ে যায় শিকার করে
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এই সময়
সমস্ত গৃহিনীদের নিরব সাক্ষরতা নিয়ে।