উনিশো একচল্লিশের প্রথমার্ধ মার্চ মাস
এক রোমহর্ষ সে নাম 'তাদের ত্রাস সুভাষ'।
যুবকের রক্তে রক্তে স্বাধীন বীজ বপনে
ব্রিটিশের কারা হতে থেকেছে আত্ম গোপনে।
উন্মাদনার প্রবাহ তবু তার হয়নি ক্ষীন
যত এগেয়ে এসেছে জটিল যুদ্ধের দিন।
চারিদিকে তাকে ঘিরে ইংরেজ উচ্ছেদের ডাক
কোল-চূয়াড়-শাওতাল বিদ্রোহিরা ঝাঁক ঝাঁক।


"মৌনব্রত নির্জনতা"- অন্বেষনের আদেশ
ছদ্মবেশে ফাকি দিয়ে সুভাসের নিরূদ্দেশ।
এদিকে ওদিকে শুধু সৈনদের চঞ্চলতা
কোথায় ধরতেই হবে- 'দিল্লি বৌম্বে কলকাতা'।
আফগানিস্থান মস্কো পেরিয়ে এতক্ষন সে
স্বাধিনতার সাহায‍্যে পৌঁছে গেছে বার্লিনে।
জার্মানের নিরবতা- অধীর চঞ্চল করে
তাইতো দেরি না করে সে, জাপানের হাত ধরে।


এদিকে ভারতে বন্ধ- "ফরওয়ার্ড ব্লক" পার্টি
সিঙ্গাপুরে তৈরী হল বিরাট বিপ্লবী ঘাঁটি।
"আবাল-বৃদ্ধ-বনীতা"- কিংবদন্তির উত্সাহে
সমগ্র ভারত জুড়ে আগুন জালে প্রত‍্যুষে।
অবশেষ অনিবার যুদ্ধের সংগ্রাম শেষে
'ব্রিটিশরা পালাতে বাধ‍্য'- আর নয় এই দেশে।


বাজলো মুক্তির দামামা নতুন সূর্য্য উদিত
দিগন্ত জুড়ে উল্লাস ভারত 'মুক্ত' ঘোষিত।
ওড়ানো হবে পতাকা 'সবুজ-সাদা-গেরুয়া'
আমাদের স্বাধিনতা 'সহিদের রক্ত মাখা'।
গান্ধি নেহরুর কাছে প্রশ্ন করে জনতায়
স্বাধিনতার কান্ডারি "মুক্ত সুভাষ কোথায়"।