ভুরভুর পেঁয়াজু সন্ধ্যায়,
ধুঁয়া আর জমাটে কাপের পাশে,
হাতের ঘাম লাগা আঁশটে কাচের গেলাসে
অস্পষ্ট প্রতিবিম্বের ভিতর
চরচর জঞ্জালের গন্ধে মোড়া-
বিশৃঙ্খল আলাপচারিতার মধ্যে,
খাবার চুইয়ে পরা তেলে সিক্ত বাসনের অপারে
তোমার হাসিটাকে মনে হয়েছিলো
এক টুকরো উষ্ণ আইসক্রিম।
অনায়েসে মুছে দিতে পারে
শরীরের সারাদিনের ক্লান্ত গুমোট।


তোমার সেই হাসি সভ্যতাহীন এক জীবনের খোঁজ,
উড়ু চিঠির মত সবকটি টেবিল পেড়িয়ে,
মধ্যখানের শলাকাগুলো পেড়িয়ে,
ছেলেগুলোর ঠোকাঠুকি বন্ধ না করেই,
দোকানির টাকায় লেগে থাকা আঙুলগুলো বন্ধ না করেই-
মুখের সামনে গরম অর্ডারের মত,
তীব্র শীতের সকালে, চাদরের ভিতর
হারিয়ে যাওয়া শিশুটির মত
বুক পকেটে নিবিষ্ট গোলাপ হয়ে ফুটল।


তারপর থেকে আমি থমকে আছি!
ফিরবার পথে কোন ট্রাফিক সিগনাল চোখে পরেনি।
চশমার কাঁচগুলো মুছে মুছে দেখি
কোন পার্থক্য হয় না।
তাই তোমার হাসি,
এক টুকরো উষ্ণ আইসক্রিম পকেটে নিয়ে ঘুরছি
তোমাকে ফিরিয়ে দেবার তাগিদে ।  


আজ বিকেলে ফের আসবে কি?


তার আগে বলে রাখি,
শরীর জুড়ে বিবস্ত্র অলসতা
এবং পরিবর্তন মানিয়ে নিতে খুব পারদর্শী নই।
তবু জানি,
ঐ এক টুকরো উষ্ণ আইসক্রিম
সব ঋতুতেই আমার উপযোগী হবে।


অমলিনা,
তোমার এক টুকরো উষ্ণ আইসক্রিম
তুমি ফিরিয়ে নিও ।
না হয়, দহনের কাছে আমি এক আরাধ্য পিপাসা-
চিরকাল তাই থেকে যাব,
উষ্ণ ব্যথার কাছে নিবেদিত চোখ তুলে
দেখে যাব, দেখেই যাব
গোধূলীর পরবশ ঠাণ্ডা জ্যোৎস্না।


০৯/০৩/১৭
পল্লবী, সিলেট।