রাই আজ চলে যাচ্ছি ।মানে চলে যেতে হবে ।
এমনি নিয়ম করে আসা নিয়মে ফিরে যাওয়া।
দেখছিস না ঢাকের তালে বাজছে বিদায় সুর;
ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ ঠাকুর যাবে বিসর্জন ।
ঠাকুর মশায় মন্ত্রপাঠে করে বাঁধন ছিঁড়ে দিল ।
তখনি তোর মনে হোল আমি বুঝি কাঁদছি ;
আসলে তোর দুচোখ জলে ভরে উঠেছে ।
পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময় বারবার দুচোখ  
চারচোখে মিলছিল, আমার চোখ এড়ায়নি ।
ও সাত্যকি।ব্যঙ্গালুরুতে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়র,
মনের কথা বলছিল, তোকে ভালো লেগেছে।
সরস্বতীর পায়ের কাছে চিরকুটে নাম্বার আছে।
তাড়াতাড়ি কথা বলে নিস সাত্যকির সাথে।
তোর ওই আটপৌরে আলগা রূপ ওর পছন্দ।
সাত্যকি ও বেশ লম্বা হালকা দাড়িতে দারুন
খয়েরি রঙের ধুতি লালচে পাঞ্জাবীতে অপূর্ব।


রাই ওই দেখ শুরু হয়ে গেছে সিন্দুর খেলা
আমাকে সব এয়োরা একে একে বরন করছে ।
যাবার রথ আলো ফুল মালাতে সেজে উঠছে।
এই চারদিন তোদের সাথে বেশ ভালই ছিলাম।
নীলকণ্ঠ পাখীটাকে উড়িয়ে দিল নীল আকাশে
ও যে কৈলাসে গিয়ে খবর দেবে! আমি ফিরছি।
মন খারাপ করিস না এইতো ফিরব বছর ঘুরে
যে মাটি থেকে রূপ পেয়েছি সেই মাটিতেই মিশব।