আমাদের বাড়ির পাশে
ওহ ওটা বাড়ি না ঘর ছোট্ট তার জানলা।
সাজানো গোছানো দোতলা হলুদবাড়ি ।
সেই বাড়িতে ধুমধাম করে হত দুগ্গাপুজা ।
অবাধ যাতায়াত করতাম পাড়ার যত
কাঠামো থেকে শুরু করে ভাসান পর্যন্ত ।
আমি যেতাম ঠাকুর দেখবার ছলে তাকে ।
আমায় দেখলেই সে দৌড়ে পালাত ঘরে ।
    ভেবেছিলাম একদিন কারনটা জানব ।
    কোনদিন আর সুযোগ হয়ে উঠলনা ।


কার্তিকের সন্ধ্যায় ওই আকাশপ্রদীপ জ্বালাত
দিদির বিয়ে হবার পর এই কাজ সেই করে ।
উঁচু বাঁশে দড়ি টেনে উঠিয়ে দিত আকাশপ্রদীপ ।
মিটমিট আলোর দিকে ছবির মতন চেয়ে থাকত;
কি জানি মনে মনে মেয়েটা কি কামনা করত;
একবার সে শুধু হেসেছিল মাটির দিকে চেয়ে ।
সেইরাতে আমার ঘুম আসেনি এই দুচোখে ,
সাদা পঙ্খিরাজে সে আর আমি, স্বপ্ন না সত্যি !
    ভেবেছিলাম সুযোগ আসবে। জানা হলনা !
    সাদা গাড়িতে সে অন্য'কারোর হয়ে গেল ।