প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জগতে একটা ঘর থাকে
নিজেকে নিজের মতন মেলে ধরে, সময় দেয় ;
যেখানে সে ঝর ঝরিয়ে হাহুতাশে কাঁদতে পারে
নিজেকে আবার নতুন করে আবিস্কার করে নেয় ।
নিজের কাছে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নিতে পারে
নিজের অপরিচিত খাতার পাতা উল্টে নিতে পারে।
প্রত্যেক মানুষেরই একলা থাকার আছে অধিকার
সেই আমার একলা আপন ‘’আমার চিলেকোঠার ঘর ‘’


আমি ও একলা হই নিজেকে আবিস্কার করি;
আমার হাসি কান্না আনন্দ দুঃখ বিস্তার করি;
উছলে ওঠা একরাশ আনন্দ-কাশফুল সে বুঝে নেয়,
দলা পাকিয়ে ওঠা কান্না কেমন করে জানি টের পায়;
আমি যে ভালো নেই, প্রথম দৃষ্টিপাতে সে বুঝে যায়
পাথর ভারী ক্লান্তিতে  দখিন বাতাস বুলিয়ে দেয় ;
শুখা মাটি দেখলেই একপশলা বৃষ্টি ঝরিয়ে দেয়,
আঁধার ঘরে পর্দা সরিয়ে ঝিলিক রোদ্দুর এনে দেয়
তাঁর মুখের খোলা হাসি ঘন কুয়াশা সরিয়ে দেয়,
শহরের জটিল ধোঁয়াশা এক নিমেষে উড়িয়ে দেয়;
সেইতো শ্রী, সেইতো জয়ের স্বপ্ন , বোঝেনা আপন পর;
সেইতো আমার একলা আপন ‘’আমার চিলেকোঠার ঘর ‘’