সকালেই জানলা খুলতেই মনে হল
মঞ্চে একরাশ আলোর বৃত্তে পড়ে আছি।
রোদ্দুর চুমুক দিয়ে চুষে খাচ্ছে
আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ
কিছুক্ষনের ভিতর পুড়িয়ে শেষ করে দেবে।
তবুও উঠে দাঁড়ালাম জানলার গ্রিল ধরে
অগ্নি গোলোকের সাথে চোখে চোখ রাখলাম।
সে কিন্তু আগুন ঝরিয়ে করল তীব্র কশাঘাত...


তোমারাইতো তীব্র আগুন করেছো দিনে দিনে।
সুনামিতে যে গাছটা উপড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল
তোমার বাড়ির ঠিক দেয়াল ঘেঁসে।
সেদিন মুখ থেকে সবাই শুধু আহাজারি করেছিল।
সেইক্ষনে সেখানে করতে পারতে আর এক বৃক্ষ রোপণ।
সে নিশ্চিত এতদিনে হয়ে যেত তরতাজা কিশোর।
বাতাস দিত ছায়া দিত পাখীরা হয়তো বাসা করত
নিম ফুলের মধু খেতে মৌমাছিরা আসত।
শুধু আমায় কেন তোমরা শাপশাপান্ত করো...


সেদিন যখন পাশের বাড়ির গিন্নীর নির্দেশে
ফুটন্ত করবীর ডালগুলো নির্মমভাবে কাটা হচ্ছিল।
জানলা দিয়ে নীরব দর্শক হয়ে দেখেছিলে।
পাঁচিল ডিঙিয়ে করবী ওদের সীমানায় গেছে বলে।
পৃথিবীর মানুষেরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে এত স্বার্থপর হয়।
আমার কি করবার আছে তোমরায় বল।


আগামী দিন সুন্দর করতে
নিজ স্বার্থ কিছু কিছু বিসর্জন দিতেই হবে।
আমার এই সৌরজগৎ আমারও যে খুব প্রিয়
আমিও যে তাঁর ধ্বংস দেখতে পারবনা।