কি করে বলি তুমি আমার কে হও
তুমি আমার জীবনে সুরের ধারা
তুমিই আমার গানের স্বরলিপি
তুমিই জীবন তুমিই আলো
তুমিই খুশি তুমিই ভালবাসা
তুমিই ভোরের বাতাস তুমিই খোলা আকাশ
তুমিই চোখের তারা তুমিই স্মৃতি
আমার নিশ্বাসে তুমি প্রশ্বাসে ও তুমি
ঘুমের ভিতর তুমি আমার স্বপ্নে ও তুমি
প্রতি যন্ত্রনাতে তুমি, প্রতি শব্দপ্রক্ষেপনে তুমি
আমার দিন আমার রাত্রি সব তুমিই তুমি
আমার ভাবনাতে প্রতি কাজের মুহুর্তে তুমি
আমার চাওয়া পাওয়ায় শুধু তুমিই তুমি
যেখানে যাই সেখানেই তুমি এখানে ওখানে সবখানে
কি করে বলি তুমি আমার কে হও
তুমি ছাড়া যে আমার কোনো অস্তিত্বই নেই  ।


এই যে তোমার রূপ, আমার চলার সোপান
জোত্স্নায় ধোয়া যেন অযুত নিহারিকাপুঞ্জ
বাতাস এসে থমকে যায় তোমার কাছে এসে
এই যে খোলা চুল যেন মেঘের ঘনঘটা
তোমার ওষ্ঠ যেন কোমল ফুলের পাঁপড়ি
কাকচক্ষু জল তোমার ওই স্বচ্ছ চোখদুটো
তোমার কথার বোলে যেন সপ্তসুরের জলতরঙ্গ
প্রতি চলার ছন্দে নদীর ঢেউএর ওঠাপড়া
হাতের স্পর্শে রঙিন হয়ে ওঠে হাজার প্রজাপতি
তোমার অন্তরে যে নগর, সেখানে স্বপ্নের ঝাড়বাতি
কি করে বলি তুমি আমার কে হও
কি করে বলি এই হৃদয় কেন বারবার উদাস হয় ।


তুমি আমার ধর্ম তুমি আমার কর্ম
তুমি ইহকাল তুমি পরকাল তুমিই জন্ম জন্মান্তর
যেদিকেই আমি দেখি সেখানেই তোমার তৈলচিত্র ছবি
তুমি ছায়ায় তুমি মায়ায় তুমি অবিরাম বৃষ্টিধারায়
তোমার দৃষ্টি ঘিরে থাকে শয়নে স্বপনে জাগরণে
সারাটা জীবনে যেন অবিরাম কক্ষপথে দশদিশায়
আমার রাস্তা আমার ঘর, তুমিই তুমি
আমার সাগর আমার লহর, তুমিই তুমি
বুকের পাঁজরে খচিত তোমার সে নাম
প্রতি রক্তের স্রোতধারা তোমাতেই ধায়  
এই জীবন তোমার নির্দেশে জিয়ন মরণ  
এরপরে ও তুমি বলবে আমি কে ?
কি করে বলি যে তুমি আমার কে হও নন্দিনী !!!