আমার যে একটা নাম ছিল আজ ভুলে গেছি
বর্ষায় এই শীর্ণ শরীরে এখন মাতন জাগে
          পথ খুঁজে পাইনা ।
অন্ধের মতন তখন অলি গলিতে দিশাহীন
গ্রাম নগর শহর শহরতলি তখন আমার দখলে ।
একে একে গিলতে থাকি সব সবকিছু
তখন কত নামে তোমরা ডাকো রাক্ষুসী
আর কত কষ্ট দিবি আর কত জীবন নিবি ;
শেষে বলেছ  যা ইছামতী যা ফিরে যাও ।


আমার দুকুল এখন তোমাদের দখলে
রাতারাতি তুলেছ ইমারত সাতমহলা  
আমাকে নস্যাত করে গড়েছ ইচ্ছামত
অস্তিত্ব বিপন্ন আমাকে যে জাগতেই হবে ।
হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে আজ উদ্যত
দ্বিধাহীন নির্ধিদ্বায় কেড়ে নিয়েছো যৌবন
বিনিময়ে দিয়েছ এই শরীরে অকালবার্ধক্য;
প্রতি বাঁকে বাঁকে রুপালি বস্ত্র কেড়েছো ।
বদলে দিয়েছ শহরের যত আবর্জনা ।
যাও ছিল যতটুকু সেখানে সবুঝ পানা
বংশ বিস্তার করে চলে নির্বিকারে ।
আমার শরীরে এখন জোত্স্না পড়েনা
ক্যন্সারের মতন দুর্গন্ধ ছড়াই অনর্গল ।


বৃষ্টি তুমি ঝর অঝোর ঝরে অবিরাম ধারায়
কৃষ্ণসখা হয়ে ফিরিয়ে দাও জীবনযৌবন ।
আমাতে তোমাতে মিলিয়ে প্রকৃতি ভারসাম্য
একে অন্যের তরে অহরহ প্রেমে প্রেমে ।