বসন্ত এলেই রনিতের দেশের বাড়ির কথা মনে পড়ে।
ও যে এই সময় রোজ ছুটে যেত বাঁধের ধারে পলাশ গাছের নিচে।
গাছ আলো করে ফুটে থাকত ফুল।
আর একটা কিশোরী মেয়ে ভাইএর হাত ধরে আসত ফুল কুড়াতে।
পড়ন্ত রোদ্দুরে মেয়ের মুখটা ভীষণ ভাল লাগত।
রনিতের চোখে চোখ পড়লেই মেয়েটা চোখ নামিয়ে নিতো।
মুখটা তখন তার হয়ে যেত পলাশ ফুলের মতন লাল।
রনিতের কেমন জানি ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করত।
বসন্তের দিনগুলো এমনি করে চলে যেত।


একদিন রনিতের ইচ্ছা হোল ওর সাথে কিছু কথা বলবার।
কি বলবে ? কেমন করে বলবে? ভাবনায় ডুবে গেল।
ভাবতে ভাবতে রাত গভীর ।
অনেক বেলা হয়ে গেল ঘুম ভাঙতে;
রোজকারের মতন আজো সে ছুটে গেল বাঁধের ধারে।
দেখে মেয়েটার ভাই এসেছে ফুল কুড়াতে।
রনিতের প্রশ্নে ভাইটা বলল - আজ দিদির বিয়ে।
পলাশফুলের মালায় দিদি সাজবে, তাই এসেছি ফুল কুড়াতে।
জানো দাদা, দিদির কিন্তু এই বিয়েতে মোটেই ইচ্ছা নেই।
জোর করে বাবা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে বুড়ো বরের সাথে।
দিদি যে কথা বলতে পারেনা। খুব অসহায়।
দিদি কিন্তু তোমাকে মনেমনে খুব ভালবাসত।
একথা ও শুধু আমাকেই বলেছিল।