কাল বাজার থেকে তার ফেরা হলনা
প্রায় ধুঁকতে ধুঁকতে সে এলো
এক্কেবারে বাড়ির দরজায়
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস।


বনলতা এসে বলেছিল -যা হোল ভালই হোল।


আশি পেরিয়ে মুখের আঁকিবুকিতে তার জীবননদী
ডাক্তারের জবানবন্দিতে সে ক'দিনের অতিথি
নরকযন্ত্রণা হয়তো আর কিছুদিনের ভোগান্তি!
আজো নিঃসৃত জলে সে বিস্কুট ভিজিয়ে খায়
যমের অরুচি যে বাৎসল্যে ফিরতে চায়।


বনলতা গিয়ে বলেছিল -আহা মহাপ্রান বাঁচো বাঁচো।


গ্রামের মেঠো পথ ছেড়ে শহরের আঁতুড়ঘরে বাস
সেখান থেকে কালিদাসের বানীবন্দনার অঞ্জলি
সাতমহলা হয়ে নিজের নীড়ের মত বাসায়
তপস্যায় আজ বুঝি হবে প্রকাশ পাবে
সত্যি কি সুজাতা পায়েস আনবে
করুণাময়ীর ভিড়ে উত্তরের আশা।


আজ বনলতা আসবে কি জানি কি বলবে।