আজ ডাকবাক্স পরিস্কার করতে গিয়ে চমকে গেছি।
দেখি একটা টিকটিকি ছুটে পালায়
মুখে তার ধরা আছে একটা আরশোলা।
নিমেষে দেয়াল বেয়ে কোথায় পালিয়ে গেল।
চাবি ঘুরিয়ে খুলে ফেলি ডাকবাক্সের দরজা।
দেখি বিদ্যুৎ বাবুর একটা ,
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গৃহঋণ সংক্রান্ত একটা
আর একটা কর ব্যবস্থার প্রদানের তিনটে চিঠি পড়ে আছে।
মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।
আশা করেছিলাম অন্য কারোর,
যদিও বার্তা ছিল তাঁর এবার আসতে পথে হবে দেরী ।


আসলে শুরুতেই
খাদ্য আর খাদকের ঘৃণ্য একটা দৃশ্য দেখেছি।  
সেটা ভুলে যাবার জন্য চিঠি গুলো একে একে খুলছি।
খুলতেই নিঃশব্দে সপাং সপাং করে
ওরা যেন একে একে চাবুক মেরে গেল।
মাসের প্রথমেই লক্ষ্মীর পাঁচালী শুনতে কার ভালো লাগে।
কষ্টে চোখ বুজে আছি ভাবলাম,
এবারে শ্রীমতী হয়তো বলবে -বাজারে যাও সকাল সকাল।
সূর্যের যা তেজ দেখছি ঘরে কিন্তু চাল বাড়ন্ত।
উনিতো জানেন না বাজারেও আগুন দাউ দাউ জ্বলছে।
সে রকম কিছু না শুনে শুনলাম না
তাই একটু স্বস্তি।


কাছেই কোথাও কোকিল কুহু কুহু ডাকছে ।
বাড়ির পাশেই বকুল গাছ।
তার ফুলের সুবাসে মন প্রাণ ভরে উঠলো।
স্বস্তি এমনি যে বৃষ্টি মেয়ের সজল মুখ ভেসে উঠল।
মেঘমল্লারের সুরে সে যেন বলছে -একটু ধৈর্য ধরো ,
অনেক অনেক বৃষ্টি কুড়িয়ে নিয়ে অল্পদিনেই আসছি।
কেমন যেন মনে হল অঝোর বৃষ্টির ধারায়
ভিজে ভিজে শান্তির নীড়ে ফিরে এসেছি।