বসেছিলেম ছাদের একধারে
মেঘের হুরোহুরি ঈশান কোনতে;
চকিতে শুনি ঝড়ের গর্জন
অজানা শঙ্কা কাঁপন বুকেতে।


ভাঙলো বুঝি পাখির বাসা
আমার কোলে আছড়ে পড়েছে,
সদ্য দুটি পাখির ছানা
   সবে বোধ হয় চোখ ফুটেছে ।


কচি চোখে ভয়ের ছবি
ধুকপুকুনি নরম বুকের মাঝে ।
ইতিউতি খুঁজছে কাকে
  মা বুঝি তার নেইতো কাছে ।


মাতৃরুপেন সংস্থিতা মাতা  
রাখি ওদের উষ্ণ আদরে ;
শাষন বারন দানা পানিতে
   ওরা এখন উড়তে পারে ।


টিভির মাথায় দিব্যি বসে
জানলা গ্রীলের এপার ওপার ;
সিলিং ফ্যানের ওপর চড়ে
  ডাকলে সাড়া কাঁধের ওপর ।


খেয়ে দেয়ে দিনসকালে
নিম গাছের উচ্চ ডালে;
মাথায় ঝুটি আকাশ দেখে  
  নামবে ওরা সাঁঝের কালে ।


একদিন একটা ফেরেনা ঘরে
মনের ভিতর শব্দ ঝরে ;
অন্যটা বুঝি খোঁজে তাকে
  চক্ষে তারও বৃষ্টি ঝরে ।


ওকি তবে হারিয়ে গেল
নতুন সাথীর খোঁজ পেল ?
ঘরের সাথী না পেয়ে দেখা
  উপবাসে প্রাণ ত্যাগিল ।


গল্পতো নয় সত্যি এমন
বইছে চোখে জলের ধারা ;
দিলি কেন এমন মায়া
     হবি'ই যদি ঘর ছাড়া ?