ডাকবাক্স
    বার বার ফোন করে ও বন্ধুর খবর পাইনা। ওর দুটো নাম্বার আছে দুটোই যান্ত্রিক রোবটের মত মহিলা কণ্ঠ বলে যায় ‘’যে নাম্বারে আপনি সম্পর্ক করতে চায়ছেন সেই নাম্বারটি বর্তমানে সুইচ অফ করা আছে।‘’ আমি দিনে দিনে হতাশ হয়ে পড়ছি। মনের ভিতর কত কথার চাষ হয়ে যাচ্ছে নিরন্তর। ভাবছি এটা হতে পারে , পরক্ষনেই ভাবছি নাহ এটা হতেই পারেনা। পুড়নো দিনের কত কথা ভেসে উঠছে একে একে নদীর স্রোতের মতন। কখন হৃদয় জুড়ে খরা কখন শ্রাবন বৃষ্টি। ওর যে ঠিকানাটা ছিল সেটা পুড়নো হয়ে গেছে। ওরা এখন অন্য কোথাও থাকে। তবু ও রাত জেগে একটা চিঠি লিখলাম। পরদিন সকালবেলায় লাল ডাকবাক্স উদ্দেশ্য করে বেড়িয়েছি চিঠিটা ফেলতে হবে। আশ্চর্য অবাক! লাল ডাকবাক্সে বাসী হয়ে যাওয়া রজনির মালা কে বা কারা যেন জড়িয়ে রেখেছে। একটা বিজ্ঞাপনের মতন কাগজে লেখা  আছে ‘’ আমি আর এই কাজ করিনা। এখন আমার দীর্ঘ অবসর। তোমরা আমাকে অনেকদিন আগেই বিসর্জন দিয়েছ এর মধ্যেই ভুলে গেলে’’। মন খারাপ হয়ে গেল।
    ঠিক তক্ষনি ফোন বেজে ওঠে বন্ধু চেনা গলায় বলছে – কিরে কেমন আছিস! বেড়াতে গেছিলাম লে লাদাকের পাহাড়ে। ওখানে  ফোন কোন কাজ করবেনা বুঝতে পারিনি। যাক ভালো থাকিস, দেখা হবে সামনের দিনে। আমার হর্ষ বিষাদ ডাকবাক্সের চোখে পড়ল কিনা জানিনা, ঝড় বৃষ্টির   পরে যেমন  লাগে মিষ্টি সকাল ঠিক তেমনই হয়ে গেল আমার ডাকবাক্স মন।