তিন্নি দিদির বিয়েতে সে আনন্দে মাতেনি ।
পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়া দিচ্ছিল কিনা?
এখন আর সে বাড়িতে থাকবেনা
মন এখন তার উরু উরু পাখী।
মাঝে মাঝেই ফোন আসে -চলে আয়
আমরা দুজনে খুব আনন্দ করব ।
আমার শ্বশুরবাড়ি সবাই খুব ভালো,
মাঝে মাঝেই এরা পিকনিক করে।
রুপালী পাড়ের ঝির ঝির বয়ে যাওয়া
       তোর্সা নদীর ধারে ।
পাথরে সবুজে সবটুকু ছবির মতন ;
কত রকম নাম না জানা পাখী
   আর রঙ বেরঙের প্রজাপতির মেলা ।
ছোট বড় কত যে নুড়ি ছড়িয়ে আছে।
তোর মনে আছে ছোটবেলার কথা
বাবা বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিল হিমাচলে
তুই আমি কত সুন্দর নুড়ি কুড়িয়েছিলাম,
বাবার বারনে সব ফেলে দিয়েছিলাম ।
মোটমাট তোর ভাললাগার সব জিনিস,
এখানে ওখানে এমনিই ছড়িয়ে আছে।


তবে দুঃখজনক একটা ব্যপার আছে,
   তুই আসলে সব বলবো। আসবি তো!
কথা দে নিশ্চিত আসবি ।
মাত্রতো ছয় ঘন্টার রেলপথ ।
আমরা স্টেশনে গিয়ে তোকে নিয়ে আসব ।
    পথ চেয়ে থাকবো, আসিস ভাই ।