দশ বাই দশ ঘর টুকরো দাওয়ায় থাকি গোটা পরিবার ।  
পরিবার বলতে আমরা পাঁচ ভাইবোন আর বাবা মা ।
মা কি করে পারতে বলতো?
একা হাতে সবটুকু সামলে দিতে ;
সময়ে খেয়ে দেয়ে পড়ে বড় হয়েছি ;
বুঝতে দাওনি এতটুকু কোনো ধরনের কষ্ট ।
অসুরগুলো বধেছ, কয়লার উনুন, টাইম কলের জল;
বিজলি! কুছপরোয়া নেই ছিল হারিকেন তালপাখা ।
জ্বর জালা চিকেন পক্সে হয়ে যাও শীতলা মাতা ।
এর ভিতর এসো জন বসো জন লেগেই থাকত ।
কলকাতা শহর না ! কাজে অকাজে এসে পড়ত,
তাও তুমি যেন স্মিত হাসিতে সব ঝড় বুকে নিতে;
বাবার শিফটের ডিউটি মাঝে মাঝে সাহায্য করতো ।।


দিনকাল পাল্টালো আমরা একে একে যে যার মতন
ঝাঁচকচকে দালানবাড়ি কেউ সরকারী আবাসন ;
বাবা হাত ছেড়ে চলে গেলেন জন্মের মতন।
তোমারও তখন ধীরে সময় ফুরিয়ে আসছে ;
হৃদয়ে দারোয়ান । শিরদাঁড়ায় বসলো স্টিলপাত ...
কানে অহরহ বেজে যেত অসহ্য এক ট্রেনের সিটি
জিজ্ঞাসা করলে হাসি ঝরিয়ে বলতে এইতো বেশ আছি !
অনেক দিন হয়ে গেল এভাবেই
তারপর, তারপর একদিন...খাঁচার পাখি উড়িয়ে দিলে ;


ফেলে আসা দিনগুলো খুব খুব মনে পড়ছে !
চলে গেলে বাঁধন কাটিয়ে জানুয়ারী'র আঠেরো'তে ।
এবার দুগ্গা আসছে অথচ তুমি নেই ...
তুমি মা আমার কাছে আমদের কাছে ছিলে দুগ্গা মা ।
          থাকো স্মরণে স্বপনে জাগরণে ।