তখন নবমীর এক গভীর নিশুতি রাত।
কার ফুঁপিয়ে কান্নাতে রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
পলাশকে নাড়িয়ে জাগায় - দেখোত কে যেন কাঁদছে ?
হয়তো বেড়াল নয়তো পেঁচা হবে তুমি ঘুমাও ।
নিঃসন্তান মায়ের বুকটা কেমন কেঁপে ওঠে ;
শুনছো ফুঁপিয়ে কান্নাটা সদরের দিক থেকে আসছে ।
একবার দেখোনা, শুধু ঘুম আর ঘুম ।
ঠিক আছে চলো চলো এত রাত্তিরে কি আপদ !


কপালে চোখ আঁকা একটা কুমারী মেয়ে
তুই কে? এখানে কি করছিস ? সাথে কে আছে?
দাঁড়াও রিয়া দেখছ না মেয়েটা অসুস্থ , সমানে কাঁদছে।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে চলেছে । জল আন এক গ্লাস।
পলাশ আদরে বলে -মেয়ে কিছু খাবি? কি নাম তোর ?
মেয়ে তবু চুপ করে বোবা চাহনিতে দেখতে থাকে;
রিয়ার আনা জল ঢকঢক করে পুরোটা খেয়ে নেয়।
দুটি খেতে দিবি? অনেকদিন ভালো করে কিছু খায়নি।


আমি দুর্গা । দেখছিস না কপালে চোখ আঁকা।
বড় কষ্টে আছি, তোদের কাছে থাকব, থাকতে দিবি?
তা নাহলে আমাকে যেতে হবে, দূরে ওই কৈলাসে ;
রিয়া পলাশ জেগে মুখোমুখি প্রশ্ন করে, দুর্গা এসেছে !